নাইজারে প্রবল বর্ষণের কারণে গত জুন থেকে ৩৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১১ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে মঙ্গলবার নাইজারের নিয়ামে থেকে এএফপি এখবর জানায়।
নাইজারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গত মাসে বলেছেন, চরম ভাবাপন্ন আবহাওয়ার কারণে সাহেল জাতি গোষ্ঠীর কমপক্ষে ২৭৩ জন মারা গেছে এবং ৭ লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এএনপি মঙ্গলবার দেশটির নাগরিক সুরক্ষা সংস্থার বরাত দিয়ে জানিয়েছে গত ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, বন্যায় ১১ লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এর মধ্যে ৩৩৯ জনের মৃত্যু এবং আরও ৩৮৩ জন আহত হয়েছে।
রাজধানী নিয়ামেসহ দেশজুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে নয়জন মারা গেছে। বন্যার ফলে প্রধানত কৃষি উপকরণ, গবাদি পশু এবং খাদ্য সরবরাহের ‘ক্ষতি’ হয়েছে।
বন্যার ফলে উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে নির্মিত মুসলিম দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর জিন্ডারের একটি ঐতিহাসিক মসজিদ ধ্বংস হয়ে গেছে।
জাতীয় আবহাওয়া সংস্থার মতে, দেশের কিছু এলাকায় আগের বছরের তুলনায় ২০০ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে সতর্ক করে আসছেন যে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সৃষ্ট ধোঁয়ার কারণে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে এবং চরম ভাবাপন্ন আবহাওয়ায় বন্যাকে আরও ঘন ঘন, তীব্র এবং দীর্ঘস্থায়ী করে তুলছে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :