হিজবুল্লাহর একের পর এক রকেট হামলায় দিশেহারা ইসরাইল। লেবাননে নির্বিচারে বোমাবর্ষণের পরও ইরান সমর্থিত এ গোষ্ঠীকে দমাতে পারছে না দখলদার বাহিনী। বুধবার (৯ অক্টোবর) হিজবুল্লাহর রকেট বৃষ্টিতে ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলে বাড়িঘরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে আগুন। হিজবুল্লাহর অব্যাহত হামলার কারণে ইসরাইলের হাইফা এলাকায় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
বুধবার ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলের একের পর এক রকেট ছুড়ে লেবাননের সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। নেতানিয়াহু বাহিনীর নির্বিচার বোমা বর্ষণে যখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে লেবানন, ঠিক তখন নিজেদের সক্ষমতার জানান দিচ্ছে ইরান সমর্থিত এ গোষ্ঠী।
এদিন ইসরাইলের হাইফাসহ আশপাশের এলাকায় বৃষ্টির মতো রকেট হামলা চালায় হিজবুল্লাহ। ইসরাইলের অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আইরন ডোম অধিকাংশ রকেট প্রতিহত করলেও বেশ কয়েকটি জায়গায় আগুন লাগে। এতে প্রাণহানির পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় আবাসিক ভবন। হতাহতদের উদ্ধারে ছুটে আসে ইসরাইলের নিরাপত্তা বাহিনী। দীর্ঘ সময় ধরে চলে উদ্ধার কাজ। বিভিন্ন জায়গায় দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে আগুন।
এর আগে ৭ অক্টোবরও ইসরাইলের বিভিন্ন জায়গায় রকেট হামলা চালায় হিজবুল্লাহ। এতে বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার পাশাপাশি রাস্তা-ঘাটসহ বিভিন্ন স্থাপনার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
হিজবুল্লাহর অব্যাহত হামলার জেরে রীতিমতো হিশেহারা হয়ে পড়েছে নেতানিয়াহু প্রশাসন। লেবানন সীমান্ত এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়ার পাশাপাশি হাইফা এলাকায় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। হিজবুল্লাহর হামলার কারণে নিজেদের জীবন নিয়ে শঙ্কিত সাধারণ ইসরাইলিরাও।
এক ইসরাইলি নাগরিক বলেন, আমরা বাগানে শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছি। কারণ হাইফায় কোনো স্কুল খোলা নেই। শিশুদের সুরক্ষা এখন মূল বিষয়। আমাদের শত্রুদের রকেট হামলা চালানো বন্ধ করা উচিত। হিজবুল্লাহ আমাদের সঙ্গে যেটা করছে ইরানও সেই একই কাজ করেছে। এটা জঘন্য অপরাধ।
ওই নাগরিক আরও বলেন, বুঝতে পারছি না, মাঝে মাঝে ইসরাইলে কঠিন মুহূর্ত চলে আসে। তবে আমি বিশ্বাস করি, ইসরাইল সেই সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবে। ভালো একটা সমাধান হবে। শান্তি ফিরে আসবে। সবাই একসঙ্গে বাঁচতে পারবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :