সুদানের আধা-সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) হামলায় ১২৪ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো ১০০ জন। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দেশটির এল-গাজিরা রাজ্যের একটি গ্রামে এ হামলা হয়।
দেশটিতে গত ১৮ মাস ধরে চলমান যুদ্ধের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় হত্যাকাণ্ড বলে জানিয়েছেন সেখানকার অধিকারকর্মীরা। সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত রোববার আরএসএফের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা আবুগালা কাইকেল সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন। দেশটির গণতন্ত্রকামী আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, তাঁর আত্মসমর্পনের পর থেকেই আরএসএফ কৃষি জমিতে হামলা চালিয়ে বেসামরিক মানুষকে হত্যা করছে এবং হাজার হাজার মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে।
গাজিরাতে হামলার মধ্যে গত কয়েক মাস ধরে আরএসএফ হামলা চালিয়ে বাড়িঘর লুটপাট, বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা এবং হাজার হাজার মানুষকে বাস্তচ্যুত করেছে। ওই রাজ্যের একজন বাসিন্দা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
আজ শনিবার ওই রাজ্যের গণতন্ত্রকামী দল ওয়াদ মাদানি রেসিসট্যান্ড কমিটি জানিয়েছে, আল সিরেহা গ্রামে হামলা চালিয়ে ১২৪ জনকে হত্যা এবং ১০০ জনকে আহত করেছে আরএসএফ। তবে শুক্রবার এক বিবৃতিতে আরএসএফ অভিযোগ করে বলেছে, সেনাবাহিনীর কাছে কাইকেল আত্মসমর্পণ করার পর তাঁর নেতৃত্ব চলা দলটি সেনাবাহিনীর সহয়তার বেসামরিক মানুষের ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে সুদানের সেনাবাহিনী এবং আধা সামরিক বাহিনী (আরএসএফ) রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
আরএসএফ সুদানের বড় একটি অংশ দখলে নিয়েছে। এ নিয়ে দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘাত চলছে। জাতিসংঘ বলেছে, সেবানাহিনী এবং আধা সামরিক বাহিনীর মধ্যে চলা সংঘর্ষে দেশটিতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে। এ সংঘাতের ফলে ১ কোটি ১০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এ ছাড়া দেশটিতে ব্যাপক ক্ষুধা এবং দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। দেশটিতে বিদেশি শক্তির ফলে দুই পক্ষই বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা পেয়ে আসছে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :