বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ বন্ধ হলেই কেবল পশ্চিমবঙ্গে শান্তি ও উন্নয়ন সম্ভব বলে মনে করেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রোববার দুপুরে ভারত-বাংলাদেশের ব্যস্ততম স্থল সীমান্ত পেট্রাপোলের মৈত্রী গেটের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একথা বলেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
বাংলাদেশের সঙ্গে হাজার হাজার কোটি টাকার ব্যবসা বাণিজ্য ছাড়াও দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত পর্যটকদের যাতায়াত হয়। তাই এই সীমান্তের অবকাঠোমো উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকারের ইতিবাচক মনোভাব, প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অমিত শাহ টেনে আনেন অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গও।
তিনি বলেন, অনুপ্রবেশ আটকাতে পারলে পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন সম্ভব। বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন পাঁচ থেকে ছয় হাজার লোক কল্যাণী এমসে চিকিৎসার জন্য আসে। যা রাজ্যের রোজগার বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়।
অমিত শাহ আরও বলেন, একটি অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্থলবন্দরগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতার দ্বার উন্মোচিত হয়। বাংলাদেশ-ভারত, ভুটান-ভারত, নেপাল-ভারত, মিয়ানমার-ভারতের মধ্যে সংস্কৃতি, ভাষার আদান প্রধান বাড়বে। নতুন এ সহযোগিতার সম্পর্কের সূচনা হবে।
তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের জনতাকে বলতে চাই ২০২৬ সালে পরিবর্তন এনে দেন। আমি এ অনুপ্রবেশকে সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেব।
দুদিনের সফরে শনিবার রাতে কলকাতায় পৌঁছান অমিত শাহ। সীমান্তের মৈত্রী গেট উদ্বোধন করে কলকাতায় গিয়ে দলীয় সমাবেশ করেন।
বৈঠকে ড. সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, মিঠুন চক্রবর্তী ছাড়াও দলীয় শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। আগামী ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় বসবে বলে দাবি বিজিপি নেতৃত্বদের।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :