আগামীকাল মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) হবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এরইমধ্যে আগাম ভোট দিয়েছেন সাত কোটি ৭০ লাখের বেশি ভোটার। মঙ্গলবার ভোটগ্রহণ হলেও নির্বাচনের ফল কখন জানা যাবে, তা নির্ভর করছে অনেকটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা কেমন তীব্র হবে তার ওপর। কিছু রাজ্যে যদি ভোটের ব্যবধান কয়েক হাজারে নেমে আসে তাহলে হয়তো ২০২০ সালের মতোই পরিস্থিতি তৈরি হবে। কিন্তু একজন প্রার্থী যদি নির্বাচনে ব্যাপক ব্যবধানে এগিয়ে থাকেন, তাহলে ফলাফল আরও আগে পরিষ্কার হয়ে যেতে পারে। তবে এ বছরের নির্বাচনে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রিপাবলিকান দলীয় ডোনাল্ড ট্রাম্প আর ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমালা হ্যারিসের মাঝে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস রয়েছে।
জানা গেছে, বেশিরভাগ ভোট কেন্দ্রগুলো রাজ্য ও কাউন্টির উপর নির্ভর করে সন্ধ্যা ৬টা থেকে মধ্যরাতের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে। সাধারণ নিয়ম হল যে আপনি যত পশ্চিমে যাবেন, সময় অঞ্চলের পার্থক্যের কারণে দেরিতে ভোট বন্ধ হয়ে যাবে। সময়ের ব্যবধানের কারণে এমনও হতে দেখা যায়, পূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্যে ভোট গণনা শুরু হয়ে যায়, কিন্তু আলাস্কা ও হাওয়াইয়ের মতো অঙ্গরাজ্যের ভোটাররা তখনও ভোট দিতে থাকেন।
ভোট শেষ হওয়ার পরে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা থেকে গণনা শুরু হবে। নির্বাচনের সম্ভাব্য বিজয়ী কে, তা জানতে হয়তো কয়েকদিন অপেক্ষায় থাকতে হবে না। ২০১৬ সালে অবশ্য ভোটের পরদিন সকালেই ট্রাম্পকে বিজয়ী হিসেবে স্বীকার করে নেন হিলারি ক্লিনটন।
তবে অনেক সময় ফলাফল জানতে কয়েক দিন অপেক্ষা করতে হয়। যেমন- ২০২০ সালে ৩ নভেম্বর ভোটগ্রহণের চার দিন পরে জো বাইডেনকে বিজয়ী বলা সম্ভব হয়েছিল। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল নির্ধারণী সাত রাজ্য-অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, নেভাদা, উত্তর ক্যারোলিনা, পেনসিলভানিয়া এবং উইসকনসিনের ফলাফলের জন্য পরের দিন সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ভোট গণনায় অতিরিক্ত সময়ের দরকার হয়েছিল ওই সময়। এছাড়া ডাকযোগে দেওয়া ভোট গণনা করার জন্য নির্বাচনের ফল জানতে আরো তিন দিন অপেক্ষা করতে হয়েছিল।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :