প্রতিদিন তাকে গোসল করাতে হয় দু’বার। অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি দিনে সে খায় ৩০টি কলা আর ২০টি ডিম। ১৫০০ কেজি ওজনের মহিষটি রীতিমতো হয়ে উঠেছে সামাজিক মাধ্যমের তারকা। মহিষটিকে নিয়ে আলোচনা এখন পুরো ভারতেই।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার বরাত দিয়ে এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, হরিয়ানায় ২৩ কোটি রুপির (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩২ কোটি টাকার বেশি) একটি মহিষ ভারতজুড়ে কৃষি মেলায় তোলপাড় সৃষ্টি করছে। ‘আনমোল’ নামের মহিষটির ওজন দেড় হাজার কেজি। পুষ্কর মেলা এবং মিরাটে সর্বভারতীয় কৃষক মেলার মতো ইভেন্টগুলোতে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে ‘আনমোল’।
আকার, বংশ এবং বিচিত্র প্রজননের জন্য পরিচিত ‘আনমোল’ সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশনও হয়ে উঠেছে বলে জানানো হয় প্রতিবেদনে।
এনডিটিভি বলছে, আনমোলের পেছনে বেশ ভালোই খরচ করতে হয় এটির মালিক গিলকে। তিনি মহিষটির খাবারের জন্য প্রতিদিন প্রায় ১৫০০ রুপি খরচ করেন, যার মধ্যে রয়েছে ড্রাই ফ্রুটস এবং উচ্চ-ক্যালরিযুক্ত খাবারের মিশ্রণ। যা আনমোলের স্বাস্থ্য এবং শক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে।
আনমোলের খাবারের মেন্যুতে রয়েছে ২৫০ গ্রাম বাদাম, ৩০টি কলা, ৪ কেজি ডালিম, ৫ কেজি দুধ এবং ২০টি ডিম। তেলের কেক, সবুজ পশুখাদ্য, ঘি, সয়াবিন এবং ভুট্টাও পছন্দ করে মহিষটি। সব সময় যেন প্রদর্শনী এবং প্রজননের জন্য প্রস্তুত থাকে, তা নিশ্চিত করতেই এমন বিশেষ খাদ্য দেয়া হয় তাকে।
প্রতিদিনের সাজসজ্জার মাধ্যমেও আনমোলের স্বাস্থ্য বজায় রাখা হয়। মহিষটিকে দিনে দু’বার গোসল করানো হয়। বাদাম এবং সরিষার তেলের একটি বিশেষ মিশ্রণ এর আবরণকে চকচকে এবং স্বাস্থ্যকর রাখে।
চিত্তাকর্ষক আকার এবং খাবার আনমোলের মূল্য নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখলেও, গবাদি পশুর প্রজননে মহিষটির ভূমিকাই এত দামের মূল কারণ বলে মনে করা হয়। সপ্তাহে দুবার আনমোলের বীর্য সংগ্রহ করা হয়। ব্রিডারদের মধ্যে যার উচ্চ চাহিদা রয়েছে।
এর প্রতিটি নিষ্কাশনের মূল্য ২৫০ রুপি এবং শত শত গবাদি পশুর প্রজননে তা ব্যবহার করা যেতে পারে। আনমোলের বীর্য বিক্রি থেকে এটির মালিকের মাসিক আয় ৪-৫ লাখ রুপি।
২৩ কোটি রুপি দাম ওঠা আনমোলকে কিনতে এরইমধ্যে অনেকে আগ্রহ দেখিয়েছেন। তবে মহিষটিকে পরিবারের সদস্য হিসেবেই দেখেন তার মালিক গিল। এজন্য মহিষটি বিক্রি করতে চান না তিনি।
সূত্র: এনডিটিভি
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :