উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানের আল-ফাশির শহরের একটি হাসপাতালে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) হামলায় ৯ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ২০ জন। স্থানীয় সময় শুক্রবার উত্তর আফ্রিকার দেশটির আল-ফাশির শহরের সৌদি হাসপাতালে এই হামলা চালানো হয়।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোরে পশ্চিম সুদানের উত্তর দারফুর রাজ্যের রাজধানী আল-ফাশির শহরের সৌদি হাসপাতালে দেশটির আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।
উত্তর দারফুর রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ইব্রাহিম খাতির জানান, আরএসএফ একটি ড্রোন থেকে চারটি নির্দেশিত ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে সৌদি হাসপাতালে রোগীদের সঙ্গীদের স্থান লক্ষ্য করে। যার ফলে রোগীর স্বজনদের মধ্যে নয়জন নিহত এবং ২০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।
জানা গেছে, সৌদি হাসপাতাল হলো আল-ফাশিরে পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যসেবা চালিয়ে যাওয়া একমাত্র হাসপাতাল। সুদানে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আধা-সামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর ২০ মাস ধরে চলা যুদ্ধে আল-ফাশির একটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
গত বছরের এপ্রিল মাস থেকে গৃহযুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদান। আরএসএফ ও সেনাবাহিনীর মধ্যে টানা ২০ মাসের এই লড়াইয়ে ২০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। তবে অনেকের মতে, এ সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজারের বেশি হতে পারে। এছাড়াও জাতিসংঘ বলছে, সুদানের গৃহযুদ্ধ বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাস্তুচ্যুতি সংকটও তৈরি করেছে।
জাতিসংঘের ধারণা, চলমান সংঘাতে সুদানে ১ কোটিরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে- দেশটির জনসংখ্যার প্রায় এক পঞ্চমাংশ। এর মধ্যে ২০ লাখেরও বেশি সুদানি প্রতিবেশি দেশে পালিয়ে গেছে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :