অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে ‘সেফ জোন’ আল-মাওয়াসিতে ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যাপক বোমাবর্ষণের ফলে আগুনে বহু তাঁবু পুড়ে যায়। এতে অন্তত সাত ফিলিস্তিনি নিহত হন। এ ঘটনাসহ গত ২৪ ঘণ্টায় গাজার বিভিন্ন অংশে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৪৫ হাজার ২৫৯ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৭ হাজার ৬২৭ জন আহত হয়েছেন।
সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার সানাদ এজেন্সির মাধ্যমে যাচাই করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলার পর উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মর্মান্তিক দৃশ্যের সম্মুখীন হন। সেখানে দুইজনের মরদেহ বিড়ালদের খেতে দেখা যায়। স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী দীর্ঘ সময় উদ্ধারকাজে বাধা দিয়েছে।
এছাড়া, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজার একমাত্র কার্যকরী হাসপাতালগুলোর একটিতে হামলা চালাচ্ছে। তারা রোগীদের দ্রুত সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিলেও স্থানীয় চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এটি প্রায় অসম্ভব।
কামাল আদওয়ান হাসপাতালের পরিচালক বলেন, আমাদের হাসপাতালে প্রায় ৪০০ জন বেসামরিক মানুষ রয়েছেন, যাদের মধ্যে নবজাতকরা অক্সিজেন ও ইনকিউবেটরের ওপর নির্ভরশীল। এই অবস্থায় হাসপাতাল খালি করা একরকম অসম্ভব।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) প্রধান গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের ‘অত্যাধিক আক্রমণ’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, স্কুল ও হাসপাতালের ওপর আক্রমণ এখন নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :