হাইতির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের একটি সরকারি হাসপাতালে বন্দুকধারীদের হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো বেশ কয়েকজন। মঙ্গলবার হাসপাতালটি পুনরায় চালুর ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। হামলার সময় সেখানে চিকিৎসাকর্মী পুলিশ ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে দুইজন সাংবাদিক ও এক পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাসপাতাল ভবনের ভেতরে হতাহতদের পড়ে থাকার ছবি ছড়িয়ে পড়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে সহিংস গ্যাংদের নিয়ন্ত্রণে ছিল এলাকাটি। তবে জুলাইয়ে সরকার এটি পুনরুদ্ধার করে।
এক ভিডিও বার্তায় হাইতির প্রেসিডেন্ট ট্রানজিশনাল কাউন্সিলের প্রধান লেসলি ভলতেয়ার বলেন, ক্ষতিগ্রস্থদের পরিবার, বিশেষ করে হাইতির জাতীয় পুলিশ এবং সাংবাদিক সমিতির প্রতি আমাদের সহানুভূতি প্রকাশ করছি।
তিনি বলেন, আমরা তাদের গ্যারান্টি দিচ্ছি যে, এই ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গত এপ্রিলে দেশটিতে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে। এর ছয় মাস আগে কেনিয়ার পুলিশ কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে একটি আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরেও হাইতির জনগণকে বিভিন্ন গ্যাংয়ের সহিংসতার ফল ভোগ করতে হচ্ছে।
২০২১ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েসকে হত্যার পর থেকেই হাইতিতে গ্যাং সহিংসতা বেড়ে গেছে। রাজধানী পোর্ট অব প্রিন্সের প্রায় ৮৫ শতাংশ এখনো গ্যাংদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, হাইতিতে চলতি বছর সহিংসতায় পাঁচ হাজারের মতো মানুষ নিহত হয়েছে এবং দেশটি এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :