ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে চলা সংঘাতের অবসানে হামাস ও দখলদার ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও কাতার। অবশ্য এরপরও গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা থেমে নেই।
কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৪৬ হাজার ৭০৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত এক লাখ ১০ হাজার ২৬৫ জন। এদের মধ্যে বহু মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।
অন্যদিকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বোমা হামলায় পাঁচ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পশ্চিম তীরের জেনিনে ইসরায়েলি হামলায় নিহত পাঁচজনের লাশ জেনিন সরকারি হাসপাতালে পৌঁছেছে। এর আগে মঙ্গলবার ইসরায়েলি বিমান হামলায় জেনিনে ছয় ফিলিস্তিনি নিহত হন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকে গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা থেকে বাদ যায়নি ২৩ লাখ বাসিন্দার এই উপত্যকার মসজিদ, বিদ্যালয়, হাসপাতাল, আবাসিক ভবন, এমনকি শরণার্থী শিবিরও। ইসরায়েলি আগ্রাসনে ২০ লাখের বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
ইসরায়েলি নির্বিচার হামলা গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের তথ্য মতে, ইসরায়েলের আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজাবাসী চরম মানবেতর জীবনযাপন করছে।
যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তে মধ্যস্থতা করছে তিনটি দেশ—কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার রাতে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল-থানি দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তের কথা নিশ্চিত করেন। কাতারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতির যে চুক্তি হয়েছে তা আগামী ১৯ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
একুশে সংবাদ//আ.টি//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :