বাধ্যতামূলক ছুটিতে ইউএসএআইডির ৬০ কর্মকর্তা

যুক্তরাষ্ট্রের উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির ৬০ জন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে ছুটিতে পাঠিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। গতকাল সোমবার তাদের ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশনা দেয়া হয়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের প্রায় সব দেশে ইউএসএআইডির সহায়তা বন্ধ করার ঘোষণার পর ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এর আগে, গত শনিবার, ট্রাম্প প্রশাসন ইউএসএআইডির কর্মীদের উদ্দেশে একটি নির্দেশনা জারি করে, যেখানে বলা হয়, আমেরিকা ফার্স্ট পলিসি বাস্তবায়নের জন্য ইউএসএআইডির বিশ্বব্যাপী সহায়তা কার্যক্রম কীভাবে পরিবর্তন করা যেতে পারে, সে বিষয়ে তাদের সহায়তা চাওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে সতর্ক করে দেয়া হয় যে, যদি কেউ এই নির্দেশনা অমান্য করে, তবে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এরপর, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ইউএসএআইডির ৬০ জন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশনা দেয়া হয়।

এই বিষয়ে ইউএসএআইডির ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক জেসন গ্রে জানান, ‘সরকারের নির্দেশনা পাওয়ার পরপরই একাধিক কর্মকর্তাকে সম্পূর্ণ বেতনসহ ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তারা অন্যান্য সুবিধাও ভোগ করবেন।’

গত ২৪ জানুয়ারি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও জানিয়েছিলেন, ‘মিশর ও ইসরায়েল ছাড়া বিশ্বের অন্যান্য সব দেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা বন্ধ করা হয়েছে। আগামী ৮৫ দিনের মধ্যে বৈদেশিক সহায়তা সম্পর্কিত বিষয়গুলো পর্যালোচনা করা হবে এবং এরপর সরকার এ বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত জানাবে।’

নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, তিনি ক্ষমতায় এলে ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি গ্রহণ করবেন। এর পর, ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর তিনি তাঁর আমেরিকা ফার্স্ট নীতি বাস্তবায়ন শুরু করেছেন।

একুশে সংবাদ/ই.ট/এনএস