বিশ্ববিখ্যাত আধ্যাত্মিক নেতা, দানশীল ব্যক্তি এবং ব্যবসায়িক উদ্যোক্তা প্রিন্স করিম আগা খান ৮৮ বছর বয়সে মারা গেছেন। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) তার দাতব্য সংস্থা আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক (একেডিএন) এক বিবৃতিতে তার মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করেছে।প্রিন্স করিম আগা খান ছিলেন শিয়া ইসলামের ইসমাইলি সম্প্রদায়ের ৪৯তম বংশগত ইমাম। ১৯৫৭ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে দাদার স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন তিনি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তার মনোনীত উত্তরসূরির নাম ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক। বিশ্বের দেড় কোটি ইসমাইলি মুসলিমের ৪৯তম বংশানুক্রমিক ইমাম বা আধ্যাত্মিক নেতা ছিলেন আগা খান।
প্রিন্স শাহ করিম আল হুসেইনি আগা খান ১৯৩৬ সালের ১৩ ডিসেম্বর জেনেভায় সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জন্মগ্রহণ করেন এবং কেনিয়ার নাইরোবিতে তার শৈশব কাটে।পরে তিনি সুইজারল্যান্ডে ফিরে যান এবং লে রোজি স্কুলে পড়াশোনা করেন। এরপর হার্ভার্ডে ইসলামের ইতিহাস নিয়ে পড়ালেখা করতে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তার সম্পদের পরিমাণ আনুমানিক ৮০০ মিলিয়ন ডলার থেকে ১৩ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত হয়েছিল। এই সম্পদ তিনি পারিবারিক উত্তরাধিকার, ঘোড়া পালন ও রেসলিং, পর্যটন ও রিয়েল এস্টেটের বিনিয়োগ থেকে উপার্জন করেছিলেন। ব্রিটিশ, ফরাসি, সুইস ও পর্তুগিজ নাগরিকত্বের অধিকারী এই ধনকুবের বিশ্বের দরিদ্র অংশের মানুষের সহায়তায় প্রচুর অর্থ দান করেছেন।
তিনি পাকিস্তানের করাচিতে আগা খান ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করেছেন। এ ছাড়া হার্ভার্ড ও এমআইটির যৌথ উদ্যোগে আগা খান প্রোগ্রাম ফর ইসলামিক আর্কিটেকচার চালু করেন। ভারতীয় ঐতিহ্যের সংরক্ষণেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন, বিশেষ করে দিল্লির ঐতিহাসিক হুমায়ুনের সমাধির সংস্কারে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ রাজপুত্রকে দূরদর্শিতা, বিশ্বাস এবং উদার মানুষ এবং অসাধারণ একজন নেতা হিসেবে বর্ণনা করে শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, ‘দারিদ্র্য বিমোচন, স্বাস্থ্যসেবা এবং লিঙ্গ সমতায় অক্লান্ত প্রচেষ্টার মাধ্যমে তিনি প্রান্তিক মানুষের স্বার্থে এগিয়ে এসেছিলেন।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :