রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে ফোনালাপের পর ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে উদ্বেগ এবং ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। তারা ধারণা করছেন, এই ফোনালাপের মাধ্যমে বৈশ্বিক পরিসরে ইউরোপের প্রভাব ও শক্তি কমে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বেশ কিছু রাজনীতিবিদ উদ্বিগ্ন যে, পুতিন ও ট্রাম্পের এই ফোনালাপ ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কোনও চুক্তির দিকে এগিয়ে যেতে পারে, যা ইউক্রেনের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
বৃহস্পতিবার জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, মার্কিন প্রশাসন আলোচনা শুরুর আগেই ইতোমধ্যে রাশিয়াকে ছাড় দেওয়ার কথা বলেছে; যা দুঃখজনক।
টেলিগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মেদভেদেভ বলেছেন, ইউরোপ হিংসা এবং ক্রোধে পাগল হয়ে গেছে। তিনি বলেন, পুতিন-ট্রাম্পের ফোনকলের বিষয়ে ইউরোপকে জানানো হয়নি কিংবা তারা কী বিষয়ে আলোচনা করেছেন, সেই বিষয়েও ধারণা দেওয়া হয়নি। এটা নিয়ে তারা ক্ষুব্ধ।
রাশিয়ার সাবেক এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘এতে বিশ্বে রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রকৃত ভূমিকা দেখা যাচ্ছে। ইউরোপের সময় শেষ।’’
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে সহায়তা করার জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মাঝে শীর্ষ সম্মেলন করার প্রস্তাব তৈরি করেছে চীন। বেইজিংয়ের এই পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
বেইজিং ও ওয়াশিংটনের কর্মকর্তারা বলেছেন, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে চীনা কর্মকর্তারা মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে ট্রাম্পের দলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তারা দুই রাষ্ট্রনেতার জন্য শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন ও চূড়ান্ত যুদ্ধ অবসানের পরের শান্তিরক্ষা প্রচেষ্টার সুবিধার্থে একটি প্রস্তাব তৈরি করছেন।
সূত্র: রয়টার্স
একুশে সংবাদ/ঢ.প/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :