AB Bank
  • ঢাকা
  • রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৯ ফাল্গুন ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী
দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন

ট্রাম্প-পুতিন আলোচনায় দুশ্চিন্তা বাড়ছে ইউক্রেন-ইউরোপের


Ekushey Sangbad
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১২:২৬ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
ট্রাম্প-পুতিন আলোচনায় দুশ্চিন্তা বাড়ছে ইউক্রেন-ইউরোপের

ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে সাম্প্রতিক ফোনালাপের পর ইউক্রেন এবং ইউরোপীয় মিত্রদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। ট্রাম্পের একতরফা কূটনৈতিক পদক্ষেপকে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা তাদের স্বার্থ উপেক্ষা করার মতো মনে করছেন।

১২ ফেব্রুয়ারি, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। তবে এই ফোনালাপের আগে ইউক্রেনের সঙ্গে কোনো ধরনের পরামর্শ বা সমন্বয় করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। আলাপের পর ট্রাম্প ঘোষণা দেন, যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা ‘তাৎক্ষণিকভাবে’ শুরু হবে এবং তিনি সম্ভবত সৌদি আরবে গিয়ে পুতিনের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করবেন।

ট্রাম্প-পুতিন আলোচনার খবর সামনে আসার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সতর্ক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে লেখেন, "ইউক্রেনের চেয়ে শান্তি কেউ বেশি চায় না। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রুশ আগ্রাসন থামানোর এবং স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য পরবর্তী পদক্ষেপগুলো নির্ধারণ করছি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, ‍‍`চলুন, এটি সম্পন্ন করি।‍‍`"

তবে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, ট্রাম্পের এই উদ্যোগের ফলে যুদ্ধবিরতির নামে রাশিয়ার স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া হতে পারে এবং ইউক্রেনকে বাদ দিয়েই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের অনেক বিশ্লেষক এবং কর্মকর্তারাও মনে করছেন, ট্রাম্প একতরফাভাবে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে হাঁটছেন। অথচ তিনি রাশিয়ার কাছ থেকে কোনো প্রতিদান আদায় করতে পারেননি। এর প্রভাব বিশ্ববাজারেও পড়েছে—ট্রাম্প-পুতিন আলাপের পর রাশিয়ার শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে, অপরিশোধিত তেলের দাম তিন শতাংশ কমে গেছে।

সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইকেল ম্যাকফল এক্স-এ লিখেছেন, কূটনীতির মূলনীতি হলো—কিছু পাবে না তো কিছু দেবে না। ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনার আগে ইউক্রেনের সঙ্গে সমন্বয় করা উচিত ছিল।

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বলেছেন, ইউক্রেনের ২০১৪ ও ২০২২ সালের আগের সীমান্ত ফিরে পাওয়া ‘অবাস্তব’। তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কোনো সরাসরি পদক্ষেপ নেবে না। ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্যপদ পাবে না, মার্কিন সেনারা সেখানে অবস্থান নেবে না এবং কোনো ইউরোপীয় সেনা ইউক্রেনে মোতায়েন হলে তাদের জন্য ন্যাটোর প্রতিরক্ষা সুবিধাও দেওয়া হবে না।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প ইউক্রেনের দুর্লভ খনিজ সম্পদের প্রবেশাধিকারকে যুক্তরাষ্ট্রের অতীত সহায়তার বিনিময়ে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেখতে পারেন। জেলেনস্কি এ ধরনের চুক্তির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি, তবে ট্রাম্পও এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত অবস্থান জানাননি।

ট্রাম্পের এমন অবস্থান ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে হতাশা বাড়িয়েছে। এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, আমি মনে করি, সবকিছু ইউক্রেনকে বাদ দিয়েই নির্ধারিত হবে। ইউক্রেন শেষ। আর ইউরোপও, এই পথেই এগোচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেন ও ইউরোপীয় দেশগুলো যুদ্ধের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে। তবে ট্রাম্প প্রশাসন যদি ইউক্রেনকে পাশ কাটিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি আলোচনা চালিয়ে যায়, তাহলে যুদ্ধের ফলাফল ইউক্রেনের জন্য কতটা সহায়ক হবে, তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।

 

একুশে সংবাদ/জ.ন/এনএস

Link copied!