AB Bank
  • ঢাকা
  • শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৯ ফাল্গুন ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

মিশরে ফেরাউন রাজার সমাধি আবিষ্কার


Ekushey Sangbad
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১২:৪১ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
মিশরে ফেরাউন রাজার সমাধি আবিষ্কার

মিসরে একটি প্রাচীন সমাধিস্থলকে রাজা ফেরাউন দ্বিতীয় থুতমোসের সমাধি হিসেবে চিহ্নিত করেছে দেশটির একটি যৌথ মিশন। প্রায় এক শতাব্দী পর বিশ্বের বৃহত্তম উন্মুক্ত জাদুঘর হিসেবে খ্যাত মিসরের লুক্সরে এই রাজ সমাধি আবিষ্কৃত হলো। যা দেশটির প্রত্নতত্ত্ব গবেষণায় নতুন মাইলফলক বলে মনে করা হচ্ছে। খবর রয়টার্সের। 

প্রতিবেদন মতে, গত মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) মিশরের পর্যটন ও প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক ঘোষণায় জানায়, দেশের দক্ষিণাঞ্চলে নীল নদের পূর্ব তীরে রাজাদের উপত্যকা খ্যাত লাক্সরের কাছে ফেরাউন এক রাজকীয় সমাধি পাওয়া গেছে।

সমাধিটি ফেরাউন দ্বিতীয় থুতমোসের। ব্রিটেন ও মিশরের একটি যৌথ উদ্যোগে এটা আবিষ্কার করেছে। এটা মিশরে চলমান প্রত্নতত্ত্ব গবেষণায় একটা মাইলফলক। একশ বছরেরও বেশি সময় আগে ফেরাউন তুতেনখামুনের সমাধি পাওয়া গিয়েছিল।

ফেরাউন বা ফারাও মিশরের রাজাদের উপাধি। দ্বিতীয় থুতমোসকে মিশরের অষ্টাদশ রাজবংশের ফেরাউন বা রাজা বলে চিহ্নিত করেছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা।

কিন্তু কীভাবে সমাধি চিহ্নিত করা হলো সে ব্যাপারে বলা হয়েছে, সমাধির ওপর অ্যালাব্যাস্টার পাত্রে দ্বিতীয় থুতমোস ও তার স্ত্রী রানি হাতশেপসুতের নাম খোদাই দেখে প্রত্নতাত্ত্বিকরা সমাধির পরিচয় নিশ্চিত করতে সক্ষম হন।মিশরের রাজবংশে শাসনক্ষমতা পাওয়া স্বল্প সংখ্যক নারীর মধ্যে একজন ছিলেন এই রানি হাতশেপসুত। সমাধির ভেতরে রাজকীয় দাফন সামগ্রীর কিছু অংশ, নীল রঙের লিপি, হলুদ রঙের তারা ও ধর্মীয় লেখাযুক্ত ধাতব বস্তুর টুকরোও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, রাজা দ্বিতীয় থুতমোসের মৃত্যুর কিছুদিন পরই ব্যাপক বন্যার কারণে সমাধিটি অনেকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সমাধির বেশিরভাগ দ্রব্য স্থানান্তরিত হয়েছে বলে তাদের বিশ্লেষণে পাওয়া গেছে। সেগুলোর উদ্ধারের প্রচেষ্টা চলছে।

এর আগে ১৯২২ সালে ফারাও তুতেনখামুনের সমাধিস্থল খুঁজে পাওয়া যায়। এরপর দশকের পর দশক ধরে মমিটি নিয়ে বিস্তর গবেষণা হয়। এক্স-রে রিপোর্টে তুতেনখামেনের মাথার পেছনের দিকে আঘাত ও রক্ত জমাট বাঁধার চিহ্ন পাওয়া যায়। এ থেকে ধারণা করা হয় তাকে হত্যা করা হয়েছিল।

কিন্তু পরবর্তী সময়ে তার ডিএনএ পরীক্ষার ফল থেকে জানা যায়, মস্তিষ্কে ম্যালেরিয়ার জীবাণুর সংক্রমণে তার মৃত্যু হয়। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, তুতেনখামুনের মা-বাবা পরস্পর ভাই-বোন হওয়ায় জিনগত সমস্যার কারণে তার রক্তের কোনো রোগ হয়েছিল এবং এ কারণেই মৃত্যু হয় তার।

 

একুশে সংবাদ/ এস কে

Link copied!