মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘জয়েন চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান’ এয়ার ফোর্স জেনারেল সি.কিউ ব্রাউনকে বরখাস্ত করেছেন। এছাড়াও তিনি অ্যাডমিরাল এবং জেনারেল পদমর্যাদার আরও পাঁচজনেক বরখাস্ত করেছেন। যা মার্কিন সামরিক বাহিনীতে এক নজিরবিহীন পরিবর্তন। খবর রয়টার্স
নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প বলেন, ব্রাউনের পদে অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল ড্যান রাজিন কাইনকে নিয়োগ দিবেন। যুদ্ধবিমান এফ-১৬ এর পাইলট কাইন গত বছর পর্যন্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (সিএইএ) মিলিটারি অ্যাফেয়ার্সের সহকারী পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন।
ট্রাম্প মার্কিন নৌবাহিনীর প্রধানকেও সরিয়ে দিচ্ছে। এ পদে রয়েছেন অ্যাডমিরাল লিসা ফ্রাঙ্কচেট্টি। তিনি একজন নারী হিসেবে প্রথমবার মার্কিন সামরিক বাহিনীর শীর্ষ পদে ছিলেন। এছাড়া নৌবাহিনী উপপ্রধানসহ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর বিচারকদেরও বরখাস্ত করবেন ট্রাম্প। পেন্টাগন এক বিবৃতি এ তথ্য জানিয়েছে।
ট্রাম্পের এমন পদক্ষেপের কারণে মার্কিন সামরিক প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। যেটি শুরু হয়েছিল গণহারে বেসামরিক চাকরিজীবীদের বরখাস্তের মধ্য দিয়েছে। ট্রাম্পের নতুন ‘আমেরিকা ফাস্ট পররাষ্ট্র নীতির’ প্রভাব এখন সামরিক বাহিনীতে পড়তে শুরু করেছে।
এদিকে পেন্টাগনে কর্মরতা বেসামরিক কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতা পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তারাও বোল পাল্টে ফেলেন। কিন্তু পোশাকধারী সামরিক কর্মকর্তারা রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ থাকেন। যারা ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান উভয়েরই দায়িত্ব পালন করেন।
ব্রাউন মার্কিন প্রেসিডেন্টের শীর্ষ সামরিক উপদেষ্টা ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি দ্বিতীয় কৃষ্ণাঙ্গ কর্মকতাও। এই পদে তাকে চার বছরের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। ২০২৭ সেপ্টেম্বরে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর আগেই তিনি দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত হলেন।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :