প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো রোববার বলেছেন, তিনি কানাডার সার্বভৌমত্ব রক্ষার বিষয়ে রাজা তৃতীয় চার্লসের সাথে কথা বলবেন, কারণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম রাজ্য হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছেন। লন্ডন থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
ট্রাম্পের মন্তব্য কানাডায় ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে, কর্মকর্তারা কানাডাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হওয়ার যেকোনো আলোচনাকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন।সোমবার কানাডার রাষ্ট্রপ্রধান রাজা চার্লসের সাথে দেখা করার সময় ট্রুডো বলেন, তিনি ‘কানাডা ও কানাডিয়ানদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করার’ আশা করেন।
ইউক্রেন বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনে লন্ডনে থাকাকালীন প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আপনাদের বলতে পারি কানাডিয়ানদের কাছে আমাদের সার্বভৌমত্ব ও জাতি হিসেবে আমাদের স্বাধীনতার পক্ষে দাঁড়ানোর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কিছুই নেই।
নভেম্বরে নতুন মেয়াদে জয়লাভের পর থেকে ট্রাম্প কানাডার সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন।তিনি নিয়মিত কানাডাকে ‘৫১তম রাজ্য’ হিসেবে উল্লেখ করেন এবং ট্রুডোকে অবজ্ঞা করে প্রধানমন্ত্রীর পরিবর্তে ‘গভর্নর’ সম্বোধন করেন।
ট্রাম্প প্রধান মার্কিন বাণিজ্য অংশীদারের বিরুদ্ধে শুল্ক আরোপ মঙ্গলবার থেকে কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, কানাডা যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হত তবে এগুলো এড়ানো যেত।
ট্রুডো গত মাসে, সতর্ক করে দিয়ে বলেন, কানাডার প্রাকৃতিক সম্পদের উপর দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠার বিষয়ে ক্রমাগত বক্তব্য‘ একটি বাস্তব বিষয়’।
রীতি অনুসারে রাজা কেবল কমনওয়েলথ দেশ সম্পর্কিত বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে কাজ করেন। তবে কিছু কানাডিয়ান রাজা চার্লস কেন কানাডার প্রতিরক্ষায় কথা বলেননি তা নিয়ে ভাবছেন।
গত সপ্তাহে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার ট্রাম্পকে যুক্তরাজ্যে একটি নজিরবিহীন দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, যা রাজাকে কানাডার সার্বভৌমত্বের বিষয়টি উত্থাপন করার সুযোগ করে দিতে পারে।
রোববার ইউক্রেনীয় নিরাপত্তা বিষয়ক লন্ডন শীর্ষ সম্মেলনে, ট্রুডো ইউক্রেনের প্রতি কানাডার দৃঢ় ও অটল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছেন।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :