মক্কা অঞ্চলের ডেপুটি গভর্নর প্রিন্স সৌদ বিন মিশাল বিন আব্দুল আজিজ পবিত্র কোরআন জাদুঘর উদ্বোধন করেছেন। এটি হায়রা সাংস্কৃতিক জেলার একটি প্রধান আকর্ষণ, যা মক্কার বাসিন্দা ও দর্শনার্থীদের ধর্মীয়-সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
মক্কা শহর ও পবিত্র স্থানগুলো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যে রয়্যাল কমিশন রয়েছে, তাদের তত্ত্বাবধান এবং সহায়তায় এটি নির্মাণ করা হয়েছে। পাশাপাশি এর ডিজাইন করা হয়েছে এমনভাবে, যেন তা স্থানীয় এবং দর্শনার্থী উভয়ের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করে।
এখানে রয়েছে কোরআনের দুর্লভ ও ঐতিহাসিক কিছু পাণ্ডুলিপি। তবে এই জাদুঘরের অন্যতম আকর্ষণ হল ইন্টারেক্টিভ ভিজ্যুয়াল প্রদর্শনী। যার মাধ্যমে দর্শনার্থীরা জানতে পারবে শুরুর দিকে কীভাবে পবিত্র কোরআন শরীফ লেখা শুরু হয় এবং সেইসাথে কোন প্রক্রিয়ায় এগুলো যুগ যুগ ধরে সংরক্ষিত হয়ে আসছে।
এছাড়াও প্রদর্শিত নিদর্শনগুলির মধ্যে রয়েছে উসমান বিন আফফানের কোরআনের পাণ্ডুলিপির একটি আলোকচিত্রিত কপি এবং আয়াতের বেশ কয়েকটি প্রাচীন পাথরের শিলালিপি।
বর্তমানে মক্কার চেতনা এবং ইতিহাস সম্পর্কিত ‘হেরা সাংস্কৃতিক জেলা’ আগ্রহীদের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। যার কারণ এখানে ধর্মীয় জ্ঞান ও শিক্ষাগত অভিজ্ঞতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। হেরা গুহায় গেলে কীভাবে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) এর ওপর ওহী নাজিল হয়, তা দর্শনার্থীরা সহজেই অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারবেন।
কোরআন জাদুঘর প্রকল্পে সৌদি কফি জাদুঘর, সাংস্কৃতিক গ্রন্থাগার এবং হেরা পার্কও অন্তর্ভুক্ত। যা রমজানজুড়ে সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
একুশে সংবাদ/য.ট/এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :