গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় আরও ৬০ ফিলিস্তিনি নিহত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞ থামছে না। সর্বশেষ হামলায় আরও অন্তত ৬০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছেন। এতে এই উপত্যকায় মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ হাজার ৭৫০ ছাড়িয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) তুর্কি বার্তাসংস্থা আনাদোলু ও কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।

আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সোমবার ভোর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় লাগাতার বোমাবর্ষণ করছে। এতে কমপক্ষে ৬০ জন নিহত হয়েছেন। গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ করে ইসরায়েল পুনরায় হামলা শুরু করলে, তখন থেকে ৪ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হন।

অন্যদিকে, বার্তাসংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, সর্বশেষ হামলায় নিহত হয়েছে অন্তত ৫৭ জন। এতে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজার ৭৫২ জনে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ১৩৭ জন আহত হয়েছেন। ফলে আহতের মোট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৭৫ জনে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বহু মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৮ মার্চ থেকে নতুন করে শুরু হওয়া হামলায় এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৩৯১ জন নিহত এবং ৩ হাজার ৪৩৪ জন আহত হয়েছেন। ইসরায়েলের এই পুনরায় আগ্রাসন চলতি বছরের জানুয়ারিতে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে সম্পূর্ণভাবে লঙ্ঘন করেছে।

এর আগে, গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে চলমান আগ্রাসনের কারণে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলাও চলমান রয়েছে। তবুও থেমে নেই তাদের হামলা। বিশ্বজুড়ে এ নিয়ে চলছে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ১৫ মাসের আগ্রাসনের পর গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। এতে কিছুদিনের জন্য শান্তি ফিরে এলেও গেল মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে হামাসের সঙ্গে মতানৈক্যের জেরে আবারও বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

একুশে সংবাদ// আ.ট//এ.জে