চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ১৪৫ শতাংশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, নতুন এই শুল্কহার অবিলম্বে কার্যকর হবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ বৈশ্বিক বাণিজ্যে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এবং নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, এই সিদ্ধান্ত মূলত চীনের ওপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়ানোর অংশ হিসেবে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে, ট্রাম্প প্রশাসন বেইজিংয়ের ওপর ১২৫ শতাংশ শুল্কোরোপের কথা জানালেও পরবর্তীতে বর্ধিত শুল্কের বিষয়টি নিশ্চিত করে হোয়াইট হাউস।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বুধবারের ঘোষণা অনুযায়ী, চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক ১২৫ শতাংশে বাড়ানো হলেও প্রশাসনের ব্যাখ্যায় দেখা যায়, এটি পূর্ববর্তী ২০ শতাংশ শুল্কের অতিরিক্ত। ফলে চীনা পণ্যের ওপর মোট শুল্কের হার দাঁড়ায় ১৪৫ শতাংশ।
বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন যে, এই উচ্চ শুল্ক মার্কিন বাজারে বহুল ব্যবহৃত প্রযুক্তিপণ্যের দাম ও সরবরাহকে প্রভাবিত করতে পারে, বিশেষত অ্যাপলের মতো ব্র্যান্ডগুলির জন্য যা চীনে উৎপাদিত পণ্যের উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল।
কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রিত অ্যাপল পণ্যের প্রায় ৮০ শতাংশই চীনে উৎপাদিত হয়। এই শুল্ক বৃদ্ধি বাণিজ্য উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে এবং বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খলে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ৮৪ শতাংশ শুল্ক কার্যকর করে রেখেছে চীন। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, দুদেশের মধ্যে গেল অর্থবছরে আনুমানিক ৫৮২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে।
একুশে সংবাদ/ব.জ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :