মানুষের খিদে পায় কেনো?
অনেকক্ষণ না খেলেই মানুষের খিদে পায়। জানেন কি কেন খিদে পায়?
![](https://86818.cdn.cke-cs.com/DCPkOUSXZG0bSzEhfv2o/images/349fff9a8a765ff4a250dadc6e57564cc4c84b26074cda1b.jpg)
১. মানুষের মস্তিষ্কের এক বিশেষ অংশের নাম ‘হাইপোথ্যালামাস’। এখানে আছে ভোজনকেন্দ্র যা খিদের অনুভূতি জাগায়। ভোজনকেন্দ্রকে পরিচালনা করে হাইপোথ্যালামাসের একটি অংশ যার নাম ‘পরিতৃপ্তিকেন্দ্র’। পরিতৃপ্তিকেন্দ্র ভোজনকেন্দ্রের কাজ-কর্ম দেখাশুনা করে। অর্থাৎ যখন খিদে পাওয়া দরকার, কতটা খাওয়া দরকার- এসব কাজ পরিতৃপ্তিকেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে থাকে।
![](https://86818.cdn.cke-cs.com/DCPkOUSXZG0bSzEhfv2o/images/a84c976c3b71ed411bd38928adbd7506ef82fb6ccf4ceae4.jpg)
২. শরীরে খাবারের ঘাটতি দেখা দিলে রক্তের শর্করা বা কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমে যায়। রক্তে শর্করা কম থাকলে পরিতৃপ্তিকেন্দ্র ভোজনকেম্দ্রের ওপর থেকে বিধি-নিষেধ তুলে নেয়। ভোজনকেন্দ্রে তখন উত্তেজনা বাড়ে, আমাদেরও খিদের অনুভূতি আসে। খাবার পরে রক্তে শর্করা বেড়ে যায়। পাকস্থলির মধ্যে খাবারের পরিমাণ নির্দিষ্ট পরিমাণে পৌঁছালে পরিতৃপ্তিকেন্দ্র ভোজনকেন্দ্রের উপরে বিধিনিষেধ চাপায়। ভোজনকেন্দ্রের উত্তেজনা তখন কমে। আমাদেরও খিদে চলে যায়।
![](https://86818.cdn.cke-cs.com/DCPkOUSXZG0bSzEhfv2o/images/c6c5c58fb3ba1b406bf53ee5da6628a8521f191560b7aa5a.jpg)
৩. ভোজনকেন্দ্র থেকে নার্ভ দিয়ে খিদের খবর পৌঁছায় পাকস্থলিতে। ফলে পাকস্থলীর পেশির সংকোচন বাড়ে। একে বলে ক্ষুধা সংকোচন। আর লালা-গ্রন্থি ও পাকস্থলীর পাচক রস বেশি করে বের হয়। খিদে পাওয়া আমাদের জন্মগত অনুভূতি। শিশু বা বুদ্ধিহীন মানুষও খিদে পেলে কষ্ট পায়, কান্না শুরু করে। আবার শরীরের চাহিদা ছাড়াও ভালো খাবার দেখলে বা তেমন গন্ধ নাকে এলে অনেক সময়ে খিদেটা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।
একুশে সংবাদ/ এসএডি
আপনার মতামত লিখুন :