সেলুলার জেল বা কালাপানি ভারতের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে অবস্থিত একটি পূর্বতন কারাগার। জনমানবহীর এই দ্বীপে ১৯০৬ সালে কারাগারটির নির্মাণ সম্পন্ন হয়।
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী বহু বিশিষ্ট আন্দোলনকারী যেমন বটুকেশ্বর দত্ত, উল্লাসকর দত্ত ও বিনায়ক দামোদর সাভারকরকে এই কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়েছিল। আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে একমাত্র সেলুলার জেলটিই পোড়ামাটির ইঁটে নির্মিত।
স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি বিশেষ অংশ হয়ে উঠেছিল এই সেলুলার জেল। ১৮৯৩ সালে শুরু হয়েছিল এই জেল তৈরির কাজ তা শেষ হয়েছিল ১৯০৬ সালে। স্বাধীনতার প্রথম যুদ্ধ এবং সিপাহি বিদ্রোহের পর প্রায় ২০০ জন বিদ্রোহীকে আন্দামান দ্বীপান্তরে পাঠিয়ে দিয়েছিল ব্রিটিশরা।
উনিশ শতকে যখন ভারত পরাধীন ঠিক সে সময় স্বাধীনতার সংগ্রাম ছিল তুঙ্গে। অনেক বিদ্রোহীদের ফাঁসি তো দেওয়া হতোই, আবার অনেকের ঠাঁই হত সেই ভয়ংকর দ্বীপের কারাগারটিতে।
এখানে অত্যাচারিত হতো বন্দিরা। ব্রিটিশ রাজকর্মচারী চার্লস জেমস ল্যাল এবং চিকিৎসক এ এস লেথব্রিজের নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি কমিটি ১৮৯০ সালে পোর্ট ব্লেয়ার পরিদর্শন করেন এবং পোর্ট ব্লেয়ারের কাছে নির্মিত হয়েছিল এই কারাগার।
মিয়ানমার থেকে লাল রঙের ইট এনে প্রথম তৈরি হয়েছিল এই কারাগার। ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দের ১১ ই ফেব্রুয়ারি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মোরারজী দেশাই এটিকে জাতীয় স্মারক স্মৃতিস্তম্ভ হিসাবে স্বীকৃতি দেন।
একুশে সংবাদ/ এসএডি
আপনার মতামত লিখুন :