রাজধানীর দারুসসালাম থানায় দায়ের করা মামলায় জামায়াতের ১০ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) একদিনের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন- আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া, ফরহাদ হোসেন, আবদুল আজিজ, মাইনুল ইসলাম তুহিন, জিয়া উদ্দিন, তাজিরুল ইসলাম, হারুন অর রশিদ, আব্দুল কুদ্দুস মজুমদার, শহিদুল ইসলাম ও এস এম কাইয়ুম হাসেন।
এর আগে রোববার (১২ মার্চ) তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদেরকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করে পুলিশ।
অন্যদিকে, তাদের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এছাড়া গ্রেফতারকৃত বাকি ৪৮ জনকে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
রাজধানীর মিরপুরে অভিযান চালিয়ে জামায়াতের ৫৮ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে আটটি ককটেল উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন জামায়াতের গ্রেফতার হওয়া ৫৮ জন ছাড়াও আরও বেশ কয়েক জন নেতাকর্মী পালিয়ে য়ায়। বৈঠকে তারা মহান স্বাধীনতা দিবসে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। তারা সরকারকে বেকায়দায় ফেলতেই এ বৈঠকের আয়োজন করেছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাদের পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিয়েছে পুলিশ।
একুশে সংবাদ.কম/জাহাঙ্গীর
আপনার মতামত লিখুন :