জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ৯ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং দুর্নীতিতে সহযোগিতা করায় তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান শিগগিরই দেশে ফিরে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
বুধবার (২ আগস্ট) রায় ঘোষণার পর বিএনপি সমর্থিত আইনজীবী ও ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি মাসুদ আহমেদ তালুকদার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রিয় নেতা তারেক রহমান ও তার স্ত্রী শিগগিরই দেশে ফিরবেন। দেশে ফিরে তারা এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।’
এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ৯ বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ মো. আছাদুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করেন।
বুধবার বিকেল ৩টা ২০ থেকে ৪টা ৫ মিনিট পর্যন্ত রায় পড়া হয়। পরে রায় ঘোষণাকালে বিচারক তারেক রহমানকে ৯ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা ছাড়াও তিন কোটি টাকা জরিমানা করেন। সেই সঙ্গে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ২১ মে মামলার বাদী দুদকের উপ-পরিচালক জহিরুল হুদার সাক্ষ্যের মাধ্যমে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। পরবর্তীকালে গত ২৪ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম সর্বশেষ সাক্ষী হিসেবে আদালতে সাক্ষ্য দেন। ওইদিন তার সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্যদিয়ে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেন আদালত। সবমিলিয়ে মামলাটির চার্জশিটভুক্ত ৫৬ সাক্ষীর মধ্যে ৪২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
পরবর্তীকালে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় গত ২৭ জুলাই যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়। রাষ্ট্রপক্ষে দুর্নীতি দমন কমিশনের বিশেষ পিপি মোশারফ হোসেন কাজল শুনানি শেষ করেন। এরপর আদালত আজ রায়ের তারিখ ধার্য করেছিলেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, জ্ঞাত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় তারেক রহমান, জুবাইদা রহমান ও তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। তবে তারেক রহমানের শাশুড়িকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
একুশে সংবাদ/স/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :