অর্থের বিনিময়ে নিজের সাজা অন্যকে দিয়ে খাটানোর অভিযোগে মূল আসামি যুবলীগ নেতা নাজমুল হাসানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। তিনি সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি।
সোমবার (১৩ মে) দুপুরে ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আমিনুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন। নাজমুল হাসানের পক্ষে শুনানি করা শ্রী প্রাণনাথ কারাগারে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে, আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন নাজমুল হাসান। আদালত শুনানি শেষে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন এবং তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বদলি সাজা খাটানোর ঘটনা নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনা হলে রোববার (১২ মে) নাজমুল হাসানকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালের আগস্ট মাসে উত্তরার একটি বাসায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল ও গাঁজাসহ আনোয়ার হোসেন নামে একজনকে আটক করে। সে সময় পালিয়ে যায় মামলার মূল আসামি ঢাকার উত্তরার ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা নাজমুল হাসান। এ ঘটনায় দুই জনকে আসামি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর মামলা করে। বিচারে অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় পলাতক নাজমুল হাসানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন নিম্ন আদালত। এ রায়ের পর নাজমুলের পরিচয় দিয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জেল খাটেন মিরাজুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি।
নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে ১১ দিন জেল খেটে জামিনে বের হয়ে যান তিনি। পরে এ ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। বিষয়টি আমলে নিয়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট তদন্তের নির্দেশ দেন।
অন্যদিকে ঘটনা তুলে ধরে প্রধান বিচারপতির নজরে আনেন নিম্ন আদালতের এক আইনজীবী। প্রধান বিচারপতি তখন এ মামলার আপিল শুনানির জন্য হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। এই বেঞ্চ শুনানি নিয়ে বিচারক, আইনজীবী, দুই জেলার এবং আসামি নাজমুল হাসানের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে আদেশ দেন।
একুশে সংবাদ/আ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :