রাজধানী ভাটারা থানা এলাকায় সোহাগ মিয়া নামে এক যুবক নিহতের মামলায় সাবেক হুইপ আ স ম ফিরোজের ফের তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ শনিবার (৩১ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন। এর আগে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক মাসুদুর রহমান তার ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
ফিরোজের পক্ষে তার আইনজীবী কামাল হোসেন বিশ্বাস রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করে। তিনি বলেন, তার রাজনৈতিক পরিচয় সবাই জানেন। ২/৪ জন স্বচ্ছ রাজনীতিবিদদের মধ্যে তিনি একজন। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট পার্লামেন্টারিয়ান। ৮ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য। এর আগে তাকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। কোনও তথ্য উদঘাটন হয়নি।
তিনি বলেন, তাকে সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে রিমান্ডে নেওয়া হয়। ১৬১, ১৬৪-এ কেউ তার নাম বলেনি। হয়রানি করতে আবার রিমান্ড চেয়েছে। আবার রিমান্ডে নেওয়া হলে তা হবে সংবিধান, মানবাধিকার বিরোধী। তিনি বয়স্ক, অসুস্থ মানুষ। রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন প্রার্থনা করছি।
রাষ্ট্রপক্ষ ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন। বলা হয়, তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। তিনি লুকোচুরি করছেন। তাকে পুনরায় রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।
এরপর আ স ম ফিরোজ আদালতকে বলেন, আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। অস্ত্র হাতে নিয়ে যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছি। জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি থাকাকালে আমার এলাকা পটুয়াখালীর বাউফলে যান। তার সময় নির্বাচন করে ১৪ হাজার ভোট বেশি পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হই। আটবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হই। ২০০১ সালে জোর করে আমাকে হারিয়ে দেওয়া হয়। আল্লাহকে হাজির নাজির করে বলছি, আমি জনতার ভোটে নির্বাচিত হয়েছে। আওয়ামী লীগসহ সকল রাজনৈতিক দলকে সমান সম্মান করেছি। ৪৬ বছরের সংসদ সদস্য হয়ে কখনো কারও বিরুদ্ধে মামলা করেনি। এ মামলার ঘটনা সম্পর্কে জানি না, আমি অসুস্থ। জামিন চাই।
শুনানি শেষে আদালত তার ৩ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই বিকেলে ভাটারা থানাধীন ফরাজী হাসপাতালের সামনে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় সোহাগ মিয়া। এ ঘটনায় ২০ আগস্ট তার বাবা শাফায়েত হোসেন ভাটারা থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় গত ২৩ আগস্ট রাতে ঢাকার বনানী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন ২৪ আগস্ট আদালত তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
একুশে সংবাদ/বা.জ.এন
জাতীয়
আপনার মতামত লিখুন :