প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মেহেরাজ ইসলামকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব এ আদেশ দেন। তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার পরিদর্শক এ কে এম মাইন উদ্দিন। শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ১৯ এপ্রিল শনিবার বিকেলে পরীক্ষা শেষে বন্ধুদের সঙ্গে পুরির দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন পারভেজ (২৪)। এ সময় আশপাশে থাকা ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের দুই ছাত্রীকে নিয়ে কটুক্তি হয়েছে কি না—এমন সন্দেহে তর্কে জড়িয়ে পড়েন মেহেরাজ ও তার সহযোগীরা।
বিতর্ক প্রক্টর অফিস পর্যন্ত গড়ালেও পরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হতেই গেটের সামনে ছুরিকাঘাত করা হয় পারভেজকে। হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান।
তদন্তে দেখা গেছে, হামলার কিছুক্ষণ আগেই মেহেরাজ, পিয়াস ও মাহাথির ঘটনাস্থলে এসে পারভেজদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান। ঘটনাটি সিসিটিভি ক্যামেরায় স্পষ্ট ধরা পড়ে।
এ ঘটনায় পারভেজের মামাতো ভাই হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে বনানী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আটজনের নাম উল্লেখ করে আরও ২৫–৩০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
এর আগে মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আল কামাল শেখ, আলভী হোসেন জুনায়েদ ও আল আমিন সানির সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গ্রেপ্তারকৃত কামাল ও মাহাথির হাসান ইতোমধ্যে আদালতে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, "ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত ছিল না, তবে আক্রমণটি আচমকাই সহিংস রূপ নেয়। আমরা মেহেরাজসহ অন্যদের মোবাইল ফোন, বার্তা, ও সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছি।"
এই হত্যাকাণ্ড ঘিরে আবারও ছাত্রদের নিরাপত্তা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা এবং বহিরাগতদের ভূমিকাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীরা দ্রুত বিচার ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে মানববন্ধন করছে।
একুশে সংবাদ//ঢ.প//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :