পানি কম খাওয়া হলে প্রস্রাব করতে সমস্যা হতে পারে। রাত জেগে সিনেমা, সিরিজ দেখা হচ্ছে প্রায় রোজই। রাত জাগার অভ্যাসেও শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিতে পারে। সেখান থেকেও প্রস্রাবে সমস্যা হয়। কিন্তু তা যে কিডনির অসুখে পরিণত হতে পারে, চট করে সে কথা কারও মাথায় আসে না। তাই কিডনি বিকল হলেও তা ধরা পড়ে অনেক দেরিতে। শুধু পাথর জমা নয়, কিডনিতে আরও নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিডনি যে কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে, তার কিছু ইঙ্গিত আগে থেকেই শরীরে ফুটে ওঠে। রাতের বেলা সেই সব লক্ষণ দেখা দিলে আগে থেকে সতর্ক হতে হবে।
১) বার বার মূত্রত্যাগ
ঘন ঘন প্রস্রাবের লক্ষণ কেবল ডায়াবিটিসের নয়, কিডনির অসুস্থতার কারণেও হতে পারে। বিশেষত রাতে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বার মূত্রত্যাগ করতে হলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। এ ছাড়া, প্রস্রাবের সঙ্গে যদি রক্তপাত হয়, তা হলেও কিন্তু বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে।
২) অনিদ্রা
কিডনি ঠিকঠাক কাজ না করলে মূত্রের মাধ্যমে বর্জ্য পদার্থগুলি দেহের বাইরে বেরোতে পারে না। এটি অনিদ্রার অন্যতম কারণ। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত মানুষদের ঘুম না আসার সমস্যা সুস্থ মানুষদের তুলনায় অনেক বেশি। হঠাৎই অনিদ্রার সমস্যা হানা দিলে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা জরুরি।
৩) জ্বর
ঠান্ডা লাগেনি, অথচ কোনও কারণ ছাড়াই রাতে ঘুসঘুসে জ্বর আসছে। সাবধান, কিডনির সমস্যার কারণেও কিন্তু হতে পারে এমন। ঘন ঘন শরীরের তাপমাত্রা বাড়লে বিষয়টি নজরে রাখুন। চিকিৎসকের সঙ্গেও পরামর্শ করুন বিষয়টি নিয়ে।
৪) শ্বাসকষ্ট
দিনের বেলা খুব না হলেও রাতে শোয়ার সময়ে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট হলে, তা কিডনি বিকল হওয়ার লক্ষণ হতে পারে। কিডনি বিকল হলে শরীরে তরলের পরিমাণে হেরফের হয়। তা থেকেই ফুসফুসের উপর চাপ পড়ে। শোয়ার সময়ে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়।
৫) পা ফোলা
কিডনির সমস্যায় শরীরে সোডিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এর ফলে পা ফুলে যায়। হঠাৎ এমনটা হলে সতর্ক হতে হবে। কারণ পা ফুলে যাওয়ার সমস্যা ফেলে রাখা ঠিক নয়। শরীরের অন্দরে মারাত্মক কিছু না ঘটলে সাধারণত এমন লক্ষণ ফুটে ওঠে না। তাই সতর্ক থাকা জরুরি।
(এই প্রতিবেদনটি সাধারণ মানুষের সচেতনতার উদ্দেশে লেখা। কিডনি বিকল হলেও সকলের ক্ষেত্রে লক্ষণগুলি এক রকম না-ও হতে পারে। প্রয়োজনে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।)
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :