AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

মানসিক স্বাস্থ্য: ডিপ্রেশনে ভুগছেন বুঝবেন যেভাবে


Ekushey Sangbad
লাইফস্টাইল ডেস্ক
০৪:২৬ পিএম, ২ মে, ২০২৪
মানসিক স্বাস্থ্য: ডিপ্রেশনে ভুগছেন বুঝবেন যেভাবে

বর্তমান সময়ে অনেকের কাছে শোনা যায় বিষণ্নতা বা ডিপ্রেশনের ভেতর দিয়ে যাচ্ছেন। ডিপ্রেশনকে একটি গুরুত্বপূর্ণ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই সমস্যা থেকে অনেকেই আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেন। সঠিক সময়ে ডিপ্রেশন কাটিয়ে উঠতে না পারলে জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠতে পারে। তাই মনের এই রোগের জন্য চিকিৎসা নিতে হবে। মনের রোগের জন্য আপনাকে যেতে হবে মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের কাছে। অনেকেই বুঝতে পারেন না কখন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে হবে। ডিপ্রেশন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গনমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ এবং লাইফস্প্রিং এর প্রতিষ্ঠাতা ডা. সাঈদুল আশরাফ কুশল।


ডিপ্রেশন কী
বিষণ্নতা বা ডিপ্রেশন আসলে কী এই প্রশ্নের জবাবে কুশল বলেন, সহজ করে বলতে গেলে বিষণ্নতা মানুষের মনের একটি স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। একজন মানুষ বিভিন্ন কারণেই বিষণ্ন হতে পারেন। ডিপ্রেশন বিভিন্ন মাত্রায় হতে পারে। এক্ষেত্রে সময় গুরুত্বপূর্ণ। একটানা ১৪ দিন মন খারাপ লাগলে সেটাকে ডিপ্রেশনের লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। যখন মন খারাপ বা দুঃখবোধ কমপক্ষে দুই সপ্তাহ কোনো ব্যক্তির  স্বাভাবিক জীবনযাপনে  বাধাগ্রস্ত করে, তখন সেটাকে ডিপ্রেশন বলা যায়।

ডিপ্রেশনের লক্ষণ 
ডিপ্রেশনের কয়েকটি লক্ষণ রয়েছে, যা প্রতিটি মানুষের জানা দরকার। ডা. সাঈদুল আশরাফ কুশল ডিপ্রেশনের প্রধান তিনটি লক্ষণ উল্লেখ করেছেন। এগুলো কোনো ব্যক্তির মধ্যে টানা দুই সপ্তাহ বা তারচেয়ে বেশি সময় দেখা গেলে সেটি বিষণ্নতা হতে পারে। লক্ষণগুলো হলো:

প্রচণ্ড হতাশ লাগা: আমরা বিভিন্ন কারণেই হতাশ হতে পারি। জীবনের চলার পথে হতাশা খুব স্বাভাবিক বিষয়। তবে যখন হতাশ লাগার মাত্রা বাড়তেই থাকবে এবং সেটা দুই সপ্তাহের বেশি চলবে তখন আমরা এটা ডিপ্রেশনের লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করব।

অসহায় মনে করা নিজেকে: স্বাভাবিকভাবে নানান সময়ে আমাদের নিজেদের অসহায় মনে হয়। তবে সেটা যদি দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলে তাহলে সেটা অবহেলার বিষয় নয়। দীর্ঘ দিন বা মাস নিজেকে হেল্পলেস বা অসহায় মনে হওয়া ডিপ্রেশনের একটি লক্ষণ। নিজের পরিবারের কেউ যদি এই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যায় তাহলে তার সঙ্গে কথা বলুন। আপনি নিজে যদি এমন অনুভব করেন তবে সেদিকে নজর দিতে হবে।

সব কাজে  অমনোযোগী: আমাদের মনোযোগ সবসময় একরকম থাকে না। তবে আপনি যাদি কোনো কাজে মনোযোগ দিতে না পারেন অথবা ঠিকভাবে কিছু করতে না পারেন তাহলে মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেয়া জরুরি। ১৪ দিনের বেশি একটানা কাজের প্রতি অনীহা বা অমনোযোগ ডিপ্রেশনের অন্যতম লক্ষণ।

কখন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যাবেন? 
মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি গুরুত্ব না দিলে পরবর্তীতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই উপরের উল্লিখিত লক্ষণগুলোর উপস্থিতি দেখলে কী করবেন সে বিষয়েও কথা বলেছেন  ডা. সাঈদুল আশরাফ কুশল। তার ভাষায়, যিনি সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন তার যখন মনে হবে আমার একজন এক্সপার্টের কাছে যাওয়া উচিত সেই সময়ই আমাদের একজন এক্সপার্টের কাছে যেত হবে। নিজে যখন বুঝতে পারবেন আপনার মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে বসা দরকার তারপর সময় নষ্ট না করাই ভালো। আমি দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় দেখেছি অনেকেই চেকআপ করাতে লজ্জা পান। এখানে লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই। চেকআপ করার পর অনেক সময় ডিপ্রেশনের বদলে বাইপোলার ধরা পরে, ওসিডি ধরা পড়ে আবার অনেক সময় কিছুই পাওয়া না।

মনে রাখতে হবে মনের রোগের জন্য চেকআপ করাটা আমাদের জন্য ভালো। আমরা বুকে ব্যথা হলে ইসিজি করি যেখানে দেখা যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্বাভাবিক রিপোর্ট আসে। একইভাবে আমাদের মেন্টাল চেকআপ  করানো দরকার। মেন্টাল চেকআপের মধ্য দিয়ে অনেক বিষয় উঠে আসে, এর ভেতরে আছে চাইল্ডউড ট্রমা, প্যারেন্টিং স্ট্যাটাস ও রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস। এই চেকআপ সবার করানো উচিত। এখানে ভাবা উচিত না যে এটা সময় এবং অর্থের ব্যয় হবে। এটা আপনার ছোট সমস্যার সমাধান দিয়ে দেবে।

অনেকেই দেখা যায় গুগলে সার্চ দিয়ে নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা যাচাই করেন। আসলে এটা কখনো সঠিক তথ্য দিবে না। একেক জন ব্যক্তি একেক রকম। তাই লক্ষণ দেখেই আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের বর্তমান অবস্থা কী সেটা জানা যাবে না। ডিপ্রেশনে ভুগছেন কিনা আর ভুগলেও সেটার মাত্রা কী এই বিষয়ে একজন দক্ষ মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।  

মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যাগুলোর দিকেও নজর দিতে হবে। মনে রাখতে হবে শরীরের রোগের সমস্যা হলে আমরা যেমন চিকিৎসকের কাছে যাই ঠিক একই ভাবে মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও আমাদের মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে হবে। 

 

একুশে সংবাদ/এনএস

Link copied!