AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

গরমে সুস্থ থাকতে যা করবেন


Ekushey Sangbad
লাইফস্টাইল ডেস্ক
০৯:৫৮ পিএম, ৯ জুন, ২০২৪
গরমে সুস্থ থাকতে যা করবেন

প্রকৃতিতে বাড়ছে গরমের তীব্রতা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে তাপের পারদ। গরমে শরীরে প্রচুর ঘাম হয়। ঘামের সঙ্গে পানি ও প্রয়োজনীয় উপাদান লবণ দেহ থেকে বেরিয়ে যায়। এ সময় সচেতন হয়ে নিম্নে বর্ণিত উপায়গুলো অবলম্বন করলে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া সম্ভব।


এই গরমে অতিরিক্ত পরিশ্রম ও ঘাম ঝরিয়ে ব্যায়াম করা থেকে বিরত থাকুন। পারলে খুব ভোরে খোলা বাতাসে হেঁটে আসুন। ফিটনেস বজায় রাখার জন্য সাঁতার কাটতে পারেন। যোগ ব্যায়াম, মেডিটেশন করতে পারেন। ধীরে ধীরে শ্বাস-প্রশ্বাস নিন। এতে দেহ যেমন ঠান্ডা থাকবে, মনেও শান্তি থাকবে।
প্রচুর পানি পান করুন এবং নিজেকে হাইড্রেটেড রাখতে বাড়িতে এবং ভ্রমণের সময় ডাবের পানি এবং লেবুর শরবত পান করুন। সারা দিনে কমপক্ষে ১০-১২ গ্লাস তরল পান করুন।

ঢিলেঢালা, হালকা রঙের পোশাক পরুন। কারণ গাঢ় রঙের পোশাক বেশি তাপ শোষণ করে এবং আঁটসাঁট পোশাক শরীরকে ঘামতে দেয় না। হালকা এবং শোষণকারী সুতার পোশাক ব্যবহার করুন।

ভ্রমণের সময় বা বাইরে কার্যক্রমের সময় ভারী পরিশ্রম এড়িয়ে চলুন; প্রয়োজনে ছায়া স্থানে বিশ্রাম করুন।

শিশুদের কখনই প্রখর সূর্যের সংস্পর্শে থাকা গাড়িতে বসে থাকতে দেবেন না এবং ছায়ার নিচে গাড়ি পার্ক করার চেষ্টা করুন।

সূর্যের রশ্মির কারণে রোদে পোড়া হলে আরামের জন্য বরফের প্যাক এবং ব্যথা উপশমকারী মলম প্রয়োগ করুন।

হাত ধুয়ে নিন এবং খাবার তৈরি এবং পরিবেশন করার সময় সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। খাদ্য ও পানিবাহিত সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে কোনো খাদ্যদ্রব্য স্পর্শ বা রান্না করার আগে হাত ধুয়ে নিন। যতবারই যখনই ওয়াশরুমে যাবেন, ততবার অবশ্যই হাত ধুয়ে নেবেন।

গরমের সময় আধাসিদ্ধ খাবার এবং রাস্তার খাবার খাবেন না। তরমুজ, শসা, আখ এবং আমের মতো তাজা রসাল ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন।

দুপুরের রোদের সময় বাড়ির জানালা বন্ধ রাখুন, যাতে তাপ বাড়ির ভেতরে আটকে না যায়।

খাবার স্যালাইনের (ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন) মজুত হাতে রাখুন। এগুলো সহজেই কিনতে পাওয়া যায়। যদি না পাওয়া যায়, নিজে এগুলো বাড়িতে তৈরি করতে পারেন।

চোখের ব্যথা এড়াতে এবং সংক্রমণের আরও বিস্তার এড়াতে, আপনার হাত সঠিকভাবে পরিষ্কার রাখুন, ব্যথা কমাতে পরিষ্কার পানি দিয়ে আপনার চোখ বারবার ধুয়ে নিন।

হাম, মাম্পস, রুবেলা এসব ভাইরাস টিকা দিয়ে সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব। শিশুদের আগে থেকে এ তিনটি সংক্রমণের বিরুদ্ধে টিকা দেওয়া না থাকলে, তাহলে দ্রুততম সময়ে টিকা নেওয়া উচিত।

কমপক্ষে ১৫ এসপিএফ (সান প্রোটেক্টর ফ্যাক্টর)সহ সানস্ক্রিন প্রয়োগ করে ত্বক ঢেকে রাখুন এবং সুরক্ষিত রাখুন।

খুব বেশি সময় সূর্যের তাপ-এক্সপোজার এড়িয়ে চলুন, বিশেষ করে দুপুর থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত, যখন সূর্যের রশ্মি সরাসরি লম্বাভাবে পড়ে।

ভ্রমণের সময় বা বাইরের কার্যকলাপের জন্য সানগ্লাসসহ ক্যাপ পরে সূর্যের তাপ থেকে নিজেকে রক্ষা করুন। টুপি এবং সানগ্লাস ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মিকে মুখের সংবেদনশীল স্থানে আঘাত করা থেকে বাধা দেবে এবং আপনার মুখকে সতেজ ও বলিরেখামুক্ত রাখবে।

একুশে সংবাদ/ এসএডি

Link copied!