বর্ষার মৌসুমে মশা-মাছির উৎপাত অনেক বেড়ে যাওয়া। ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়ার মতো প্রাণঘাতী রোগ থেকে নিরাপদ থাকতে রাতের দিকে অনেকে মশারি টাঙিয়ে ঘুমান। কিন্তু সকালেও অনেক বাড়িতে মশার উৎপাত থাকে। এখনকার মশাও বদলে গেছে। মশার ধুপ ব্যবহার করতেই হয়। আবার অনেকে জ্বালান কয়েল। কিন্তু কয়েল বা ধূপে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। অনেকে মশা তাড়ানোর ক্রিম বা স্প্রেও ব্যবহার করেন।
অনেকেই মশা তাড়াতে ঘরের কোণে পিপারমেন্ট অয়েলযুক্ত সুগন্ধি মোম জ্বালিয়ে থাকেন। কিন্তু এই এসেনশিয়াল তেল গায়েও মাখতে পারেন। তবে সরাসরি ত্বকে লাগালে র্যাশ বেরোতে পারে। নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে লাগাতে পারেন।
লেমন ইউক্যালিপটাস
মশা তাড়ানোর যেসব স্প্রে থাকে সেগুলোর মূল উপাদান লেমন ইউক্যালিপটাস তেল। এই তেল শরীরে মাখলে অনেকক্ষণ মশা দূরে থাকবে। দিনের বেলা গোসলের পর ময়েশ্চারাইজার মাখার মতো নিয়ম করে হাতে ও পায়ে এই তেল মেখে নিতে পারেন।
কর্পূর
ঘরের কোণে কর্পূর রাখতে পারেন। যে টেবিলে বসে সারা দিন কাজ করছেন বা খাটের পাশে রাখা টেবিলে রেখে দিতে পারেন, কিছুটা কাজ দেবে। বর্ষার সময় কর্পূর অনেক কাজের। সারাদিন ধূপ জ্বালাতে না চাইলে এটিই সবচেয়ে কার্যকর।
ফ্যান চালান
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসে থাকলে কতজন আর ফ্যান চালান। কিন্তু ঘরে জোরে ফ্যান চালিয়ে রাখলেও গায়ে খুব একটা মশা বসার সুযোগ পায় না। ফ্যানের জোর হাওয়ায় মশা খুব একটা উড়তে পারে না।
পানি জমতে দেবেন না
বাড়ির আশপাশে বেশি পানি জমলে মশা হবেই। আবার ছাদের কোণে বৃষ্টির পানি জমছে কিনা খেয়াল রাখতে হবে। বাথরুমে অহেতুক পানি জমিয়ে রাখাও ভালো নয়। ঢাকনা দেওয়া বালতি ব্যবহার করুন যদি রাখতেই হয়। বাগান, বারান্দা বা ছাদে কোনো খালি গাছের টব রাখা থাকলে সেগুলো উল্টে রাখুন। বাড়ির বাইরে ময়লা ফেলার বালতি থাকলে সেগুলোতে পানি জমে থাকছে কি না, খেয়াল রাখুন।
আপনার মতামত লিখুন :