বেশিদিন বাঁচতে সকালের নাশতায় এমন কিছু প্রাধান্য দিন যা আপনার প্রাণশক্তি বাড়াবে। নিয়মিত সেসব খাবার খাওয়ার অভ্যাস শুধু আয়ু বাড়াবে না, নীরোগ থাকতেও আপনাকে সাহায্য করবে। তাই আসুন জেনে নিই, দীর্ঘায়ু হতে সকালের নাশতায় কোন কোন খাবার প্রাধ্যান্য দেবেন।
ভাজা পোড়া-জাংক ফুডের (বামে) মতো খাবার এড়িয়ে দীর্ঘায়ু হতে সকালের নাশতায় বেছে নিন তাজা সবজি, ফল
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দিনের শুরুতেই শরীরকে পাওয়ার হাউস করে তুলতে সকালের নাশতার বিকল্প নেই। আর এজন্য সকালের নাশতায় আপনাকে বেছে নিতে হবে জীবন্ত খাবারকে।
চীনে একটি কথা আছে, আপনি সেটাই যেটা আপনি খাচ্ছেন। এ অর্থে, জীবন্ত খাবারেই মিলবে জীবিত থাকার উপায়। এমন মত ডায়েটেশিয়ানদের। দীর্ঘায়ু পেতে এর বিকল্প নেই বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কেন এমনটা বলছেন, তা কি আপনি জানেন? আসুন, আজকের আয়োজনে তা একে একে জেনে নিই-
পৃথিবীতে তিন ধরনের খাবার রয়েছে। এগুলো হলো জীবন্ত খাবার, অর্ধমৃত খাবার এবং মৃত খাবার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকৃতিতে যেসব খাবার যেভাবে উৎপন্ন হয় সেভাবেই খাওয়া গেলে সেগুলো জীবিত খাবার। জীবিত খাবারের মধ্যে রয়েছে ফল, বাদাম, বীজ, সবুজ পাতা, সালাদ ইত্যাদি।
এই জীবন্ত খাবারকেই যখন তেল দিয়ে রান্না করা হয় কিংবা অল্প তাপে সেদ্ধ করা হয় তাকে অর্ধমৃত খাবার বলে। অর্ধমৃত খাবারের মধ্যে অল্প সেদ্ধ খাবারকে বোঝায়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ৪৮ ডিগ্রি তাপমাত্রায় রান্না করা খাবারে জীবনী ও প্রাণশক্তি পুরোপুরি নষ্ট হয় না। তাই এসব খাবার খাওয়ার অভ্যাসেও শরীর সুস্থ থাকে।
মৃত খাবার হলো যে খাবার অধিক তাপমাত্রায় রান্না করা হয়। এসব খাবারে কোনো প্রকার জীবনী বা প্রাণ শক্তি অবশিষ্ট থাকে না। আরও অনুপস্থিত থাকে এনজাইম, ফাইটোক্যামিকেল, বায়ো- ইলেকট্রিক্যাল এনার্জি।
এসব খাবার অভ্যাসে মানুষের ভেতরে প্রাণশক্তি কমে যায়। যা দীর্ঘায়ু হতে বাঁধা দেয়। তাই এসব খাবার কম পরিমাণে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ প্রসঙ্গে কোয়ান্টাম হার্ট ক্লাবের কো-অর্ডিনেটর ডা. মনিরুজ্জামান বলেন, সুস্থ, নীরোগ ও দীর্ঘায়ু হতে তিন ধরনের খাবারের মধ্যে জীবন্ত খাবার না রাখার মানে ক্রমেই বিষযুক্ত হচ্ছে শরীর।
এ বিষ থেকে মুক্তির জন্য দিনের শুরু অর্থাৎ সকালের নাশতায় অবশ্যই জীবন্ত খাবার রাখার পরামর্শ দেন ডা. মনিরুজ্জামান। পাশাপাশি সারাদিনে খাবারের ৭০ ভাগই জীবন্ত হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।
তাই দীর্ঘায়ু পেতে সকালের নাশতায় নিয়মিত রাখতে পারেন দুধ, ওটস, বিভিন্ন ধরনের রঙিন ফল, বিভিন্ন ধরনের বাদাম, রঙিন সালাদের মতো জীবন্ত খাবার।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :