আমেরিকান অলাভজনক একাডেমিক চিকিৎসা ও গবেষণা কেন্দ্র মায়ো ক্লিনিকের একটি প্রতিবেদন বলছে, শরীর ও মনের জন্য সেরা ওষুধ হাসি। হাসির কারণে আপনার শরীর অধিক বাতাস গ্রহণ করে। ফলে রক্তে বেশি পরিমাণে অক্সিজেন প্রবাহিত হয় এবং রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি সংক্রমণজনিত অসুখবিসুখও দূরে থাকে। তাই প্রাণ খুলে হাসার জন্য একটু সময় বের করে নিন। আসুন জেনে নিই, হাসির নানা উপকারিতা সম্পর্কে।
নানান ঝামেলায় কী হাসতে ভুলে গেছেন? বুকে চেপে রেখেছেন অনেক রকম কষ্ট! তাহলে মন খারাপের জগতে ঘোরাফেরা না করে কিছু সময় মন খুলে হাসুন। আর দেখুন এর ম্যাজিক!
১। শারীরিক ও মানসিক চাপ: প্রাণ খুলে হাসার যে উপকারিতা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম মনের ব্যথা অনেকটাই কমে যায়। চিকিৎসা শাস্ত্র বলছে, হাসার পর শরীরে এন্ডরফিনের ক্ষরণ বাড়তে শুরু করে। যা পেশির শক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি সহ্যশক্তি বাড়ে। শারীরিক চাপসহ মানসিক চাপও অনেকটা কমতে শুরু করে।
২। রক্তচাপ: নিয়মিত হাসার অভ্যাসে হার্টে সঠিক নিয়মে রক্ত ও অক্সিজেন চলাচল করার সুযোগ ঘটে।
৩। হৃদযন্ত্রের সুস্থতা: শরীরের হৃদপেশিগুলোকে সচল ও সুস্থ রাখতে দারুণ কাজ করে কিছু মুহূর্তের জন্য হাসি। যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে কাজ করতে পারে।
৪। ওজন কমায়: প্রতিদিন কিছু মিনিটের হাসি ওজনও কমাতে পারে। শুনে অবাক লাগলেও এটিই সত্যি। চিকিৎসকরা বলছেন, প্রাণ খুলে হাসার কারণে শরীরে ৪০ ক্যালোরি পর্যন্ত পরিমাণ কমে। তাই খুব সহজে যদি শরীরের ক্যালোরি কমাতে চান তাহলে বেশি বেশি হাসার অভ্যাস করতে পারেন।
৫। ফুসফুসের সুস্থতা: হাসলে ফুসফুসের সুস্থতা নিশ্চিত হয়। সঠিক নিয়মে শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ হওয়ায় শ্বাসের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। এতে করে ফুসফুসের সুস্থতা যেমন নিশ্চিত হয় তেমনি সংক্রমণজনিত অসুখবিসুখও দূরে থাকে।
নিয়মিত হাসির অভ্যাস আপনার পুরো শরীরের ইমিউনিটি বুস্ট করে। আত্মতৃপ্তি ও আপনার মুড অফ পরিবর্তন করতেও দারুণ কার্যকরী এক টুকরো হাসি।
একুশে সংবাদ/স.ট./সা.এ
আপনার মতামত লিখুন :