কথায় বলে, মেয়েদের মন বোঝা নাকি ভারী শক্ত। সত্যিই কি তাই? আসলে মেয়েরা তাদের মনের গহীন কোণে এমন কিছু প্রত্যাশা চেপে রাখেন, যা তারা মুখে প্রকাশ করে না অনেক সময়েই। শুধু আশা করেন যে, সঙ্গী তা অনুমান করে সম্পর্ককে আরও রঙিন করে তুলবেন। প্রত্যাশা রাখা ঠিক না বেঠিক, সে নিয়ে বিস্তর তর্ক-বিতর্ক আছে। কিন্তু কাছের মানুষের থেকে ছোটখাটো বিষয়ে প্রত্যাশা চলেই আসে। পুরোটাই নির্ভর করে সম্পর্কের সমীকরণের উপরে। এটাও ঠিক যে, ব্যক্তিভেদে বদলে যায় প্রত্যাশার সংজ্ঞা। সমাজ, পরিবেশ, পরিস্থিতির চাপে অনেক ইচ্ছা সুপ্তই থেকে যায়।
মনোবিদেরা বলেন, প্রত্যাশা যে একেবারেই অনুচিত, তা নয়। স্ত্রী তার স্বামীর থেকে, প্রেমিকা তাঁর প্রেমিকের থেকে কিছু প্রত্যাশা রাখতেই পারেন। সমস্যা হয় তখনই, যখন সেই প্রত্যাশা পূরণ না হলে হতাশা বা অবসাদ গ্রাস করে। অথবা সম্পর্কে তিক্ততা এসে যায়। তাই যদি একটু মন বোঝা সম্ভব হয়, তা হলে প্রেমের সম্পর্ক আরও মধুর হয়ে উঠতে পারে।
গোপনে মেয়েরা কী কী চায়?
সঙ্গীনী হওয়ার সম্মানটুকু মনে মনে চান মেয়েরা। যতই স্বাধীনচেতা হোক না কেন, সঙ্গীর উপর নির্ভর করতে চায় অনেকেই। সে নির্ভরতা যে আর্থিক দিক থেকে হবে, তা নয়, তবে মানসিক নির্ভরতা চান। দামি উপহার দিয়ে মন জিতে নেওয়ার চেষ্টার বদলে বরং স্ত্রী বা প্রেমিকার ভাবনাকে মর্যাদা দিয়ে দেখুন। সম্পর্ক গাঢ় হবে।
সময় খুবই মূল্যবান
ব্যস্ততা থাকবেই। সম্পর্কে একঘেয়েমিও আসবে। কিন্তু রোজের হুড়োহুড়ি থেকে কিছুটা সময় সঙ্গীর জন্য বার করাই যায়। পরিস্থিতি বিচার করে মুখে না বললেও সঙ্গীর সঙ্গে একসঙ্গে নিরিবিলিতে কিছুটা সময় কাটাতে ভালবাসে প্রায় সব মেয়েই। নিজেদের মধ্যে বোঝাপ়ড়াও বাড়ে তাতে।
চাইছি তোমার বন্ধু
স্বামী হোক বা প্রেমিক, এক জন প্রিয় বন্ধুকেই খোঁজেন মেয়েরা। যাকে নির্ভয়ে ও নির্দ্বিধায় সব কথা বলা যায়। সম্পর্কে বিশ্বাস, ভরসা ও স্বচ্ছতাই আশা করে মেয়েরা। ভালবাসার মানুষকে বদলানোর চেষ্টা নয় বরং একসঙ্গে পথ চলার বাসনাই থাকে মনের কোনও গোপন কোণে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :