যাদের ট্রাইগ্লিসারাইড বা কোলেস্টেরল, ফ্যাটি লিভারের সমস্যা রয়েছে, কিংবা ওবেসিটিতে ভুগছেন, তাদের তেল খাওয়া একদম উচিত নয়।এক ফোঁটা তেল দিয়ে রান্না করা সম্ভব নয়। তবে, রান্নায় তেল পরিমাণ কমানোই যায়। ৫ চামচের বদলে ১ চামচ ব্যবহার করতে পারেন। আর কোন উপায়ে তেলের ব্যবহার কমাবেন?
তেলের জার থেকে সরাসরি তেল কড়াইতে ঢালবেন না। চামচ বা মেজারমেন্ট কাপ ব্যবহার করুন। তেলের পলাও ব্যবহার করতে পারেন। এতে মেপে হবে তেলের ব্যবহার।ভাজাপোড়া রান্না যত কম খাবেন, দেহে কমতেল ঢুকবে। চেষ্টা করুন বেক করা খাবার খেতে। নামমাত্র তেল, মশলা মাখিয়ে মাছ, মাংস বেক করে নিলেই কাজ শেষ।
বেক না করলেও বাঙালির প্রিয় ভাপাও রান্না করতে পারেন। কম তেল ও মশলা দিয়ে মাছ, মাংস, ডিম সবই ভাপা রান্না করতে পারেন।কড়াইতে আলাদা করে রান্না দেওয়ার দরকার নেই। মাছ, মাংস কিংবা পনিরে আগে থেকেই মশলা মাখিয়ে রেখে দিন। মশলা সমেত মাছ, মাংস, পনির কড়াইতে দিয়ে কষিয়ে নিন।
১. ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার
ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার কর্টিসলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং শিথিলতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং স্ট্রেস লেভেল কমাতে শাক, বাদাম এবং কুমড়ার বীজ নিয়মিত খাওয়া জরুরি। এ ধরনের খাবার নিয়মিত খেলে তা স্ট্রেস দূরে রাখতে সাহায্য করে। তাই এগুলো রাখুন খাবারের তালিকায়।
২. ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড
আপনি যদি আপনার স্ট্রেস স্বাভাবিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে চান তবে ডায়েটে ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন। স্ট্রেস এবং প্রদাহ কমাতে আপনার প্রতিদিনের খাবারে চিয়া বীজ, আখরোট এবং ফ্ল্যাক্সবীড যোগ করুন। এগুলো এই কাজে দুর্দান্ত সাহায্য করবে।
৩. বেরি, বাদাম, ডার্ক চকোলেট
আপনি জেনে অবাক হতে পারেন কিন্তু প্রক্রিয়াজাত শর্করা স্ট্রেসের মাত্রা বাড়ায়। সুতরাং, খাবার থেকে সমস্ত ধরণের চিনিযুক্ত স্ন্যাকস বাদ দিন। এর বদলে বেরি, বাদাম বা ডার্ক চকোলেট খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে স্ট্রেস থেকে দূরে তো থাকবেনই, মিলবে আরও অনেক উপকার।
৪. প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার
অন্ত্রের স্বাস্থ্য এবং স্ট্রেস সংযুক্ত। আপনার পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে এবং স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করতে দই, আচার বা পান্তা ভাত জাতীয় প্রোবায়োটিক খাবার নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে স্ট্রেস থেকে মুক্ত থাকা সহজ হবে। সেইসঙ্গে বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও।
৫. পর্যাপ্ত পানি
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পানের বিকল্প নেই। আপনি হয়তো জানেন না, ডিহাইড্রেশন আপনার শরীরে স্ট্রেসের মাত্রা বাড়াতে পারে। সতেজ এবং হাইড্রেটেড থাকার জন্য সারা দিন পানি এবং ভেষজ চা পান করুন। এতে স্ট্রেসমুক্ত ও সুস্থ থাকতে পারবেন।
একুশে সংবাদ/এসএস
আপনার মতামত লিখুন :