চিংড়ি দিয়ে যে কত কী রান্না করা যায়, তার হিসাব নেই। কিংবা সাধারণ যে কোনও খাবারে একমুঠো গুড়া চিংড়ি ভেজে দিলেই তার স্বাদ অন্য রকম হয়ে যায়। কিন্তু বরিশালের বিখ্যাত ‘জলটোবা’ খেতে কেমন?
যতই ‘পোকা’ বলি না কেন, চিংড়ির নাম শুনলেেই স্বাদ আর ঘ্রাণে একাকার। মালাইকারি, বাটিচচ্চড়ি, ভাপার মতো পদ আঙুল চেটে খান বাঙালীরা। আবার, চিংড়ির পুর, কুমড়ো বা লাউপাতায় মোড়া, শিলে বাটা কিংবা ভর্তাও বিশেষ পছন্দের অনেকের। চিংড়ি দিয়ে যে কত কী রান্না, তার হিসেব নেই। বরিশালের বিখ্যাত একটি পদ হল চিংড়ির জলটোবা। এই ‘টোবা’ আসলে বড়া। তবে ফারাক আছে। এই বড়া কিন্তু ডুবোতেলে ভাজা নয়। হাতে একটু সময় থাকলে সপ্তাহান্তে ছুটির দিনে বানিয়ে ফেলতে পারেন এই পদটি। রইল প্রণালী।
উপকরণ:
চিংড়ি: ৫০০ গ্রাম
লেবুর রস: ২ টেবিল চামচ
আদা বাটা:১ টেবিল চামচ
লঙ্কা বাটা: ১ টেবিল চামচ
হলুদ গুঁড়ো: ১ চা চামচ
গোটা গরমমশলা: ১ টেবিল চামচ
তেজপাতা: ২টি
কাঁচামরিচ: ৩-৪টি
পেঁয়াজ বাটা: ৩-৪ টেবিল চামচ
টক দই: ২-৩ টেবিল চামচ
জিরে গুঁড়ো: ১ চা চামচ
নারিকেলের দুধ: ১ কাপ
ঘি: ১ চামচ
পরিমাণ মতো নুন ও চিনি
প্রণালী:
প্রথমে চিংড়ি মাছের মাথা, খোসা ছাড়িয়ে ভাল করে ধুয়ে নিন। চাইলে লেবুর রস মাখিয়ে কিছু ক্ষণ রেখে দিতে পারেন। এ বার মিক্সিতে চিংড়ি দিয়ে মিহি করে বেটে নিন। ছোট একটি পাত্রে চিংড়ি বাটার সঙ্গে আদা বাটা, মরিচ বাটা, নুন ও হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে ৩০ মিনিট ফ্রিজে রাখুন। এ বার কড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে গোটা গরমমশলা, তেজপাতা ফোড়ন দিন। এ বার তাতে আদা বাটা, মরিচ বাটা, পেঁয়াজ বাটা দিয়ে ভাল করে ভেজে নিন। কড়াইয়ে ফেটানো দই, জিরে গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, নুন, হলুদ দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন। মশলা থেকে তেল ছেড়ে এলে সামান্য জল দিন। তার পর নারকেলের দুধ দিয়ে ঝোল ফুটতে দিন। ঝোল ঘন হয়ে এলে উপর থেকে কয়েকটি চেরা কাঁচামরিচ দিয়ে দিন। ঝোল ফুটে উঠলে বেটে রাখা চিংড়ি বড়ার মতো গোল করে ওই ঝোলে ছেড়ে দিন। গ্যাসের আঁচ কমিয়ে ৫ থেকে ৬ মিনিট আরও ফুটতে দিন। সবশেষে ঘি দিয়ে গ্যাস বন্ধ করে দিন।
একুশে সংবাদ/আ.প./সাএ
আপনার মতামত লিখুন :