আমলকি আয়রন এবং ভিটামিন সি-এর একটি ভালো উৎস, যা আয়রনের ঘাটতি মেটাতে সাহায্য করতে পারে। এটি একাধিক ভিটামিন যেমন B1, B2, B5 এবং B6 এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ যা সামগ্রিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। পিরিয়ড প্রতিটি নারীর জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। প্রতি মাসের এই ৩ থেকে ৭ দিন অনেকটা রক্ত বের হয়ে যায় শরীর থেকে, যার ফলে আয়রনসহ নানা পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি দেখা দিতে পারে নারীর শরীরে। পিরিয়ডের সময় সৃষ্ট আয়রনের ঘাটতি দূর করার উপায় হিসেবে আমলকি খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞানের দিক থেকে এর কার্যকারিতা মূল্যায়ন করা অপরিহার্য।
আমলকি অনেক সুবিধা দিতে পারে কারণ এতে ভিটামিন সি রয়েছে, যা আয়রন শোষণকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। তবে এর আয়রন সামগ্রী উল্লেখযোগ্যভাবে আয়রনের মাত্রাকে প্রভাবিত করার জন্য যথেষ্ট নাও হতে পারে, বিশেষ করে ঋতুস্রাবের সময় যখন আয়রনের ক্ষয় যথেষ্ট হয়।
আমলকি খাওয়ার উপকারিতা ও অসুবিধা
আমলা খাওয়ার সম্ভাব্য সুবিধার মধ্যে রয়েছে এর প্রাকৃতিক ভিটামিন সি উপাদান, যা অন্যান্য খাদ্যতালিকাগত উৎস থেকে আয়রন শোষণকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। সেইসঙ্গে এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, খাওয়ার রুচিও বাড়ায়।
আমলকিতে লৌহ-সমৃদ্ধ অন্যান্য খাবারের তুলনায় তুলনামূলকভাবে কম আয়রন সামগ্রী থাকতে পারে। আমলকির তৈরি ক্যান্ডি, জ্যাম এবং স্কোয়াশের মতো কিছু খাবারে অতিরিক্ত শর্করা বা প্রিজারভেটিভ থাকতে পারে, যা সবার জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে, বিশেষ করে যাদের বিভিন্ন খাবারের ক্ষেত্রে নিষেধ রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঋতুস্রাবের সময় আয়রন সাপ্লিমেন্টের জন্য আমলকি খাওয়ার আগে এর সামগ্রিক পুষ্টিগুণ এবং কীভাবে এটি সুষম খাদ্যের সাথে খাপ খায় তা বিবেচনা করা অপরিহার্য। নিশ্চিত করুন যে এটি অন্যান্য আয়রন সমৃদ্ধ খাবার এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির উৎসের পরিপূরক। হজমের সমস্যা বা অ্যালার্জিযুক্ত ব্যক্তিদের আমলকির জ্যাম খাওয়ার আগে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
মাসিক চক্রের সঙ্গে সম্পর্কিত আয়রনের ঘাটতি পরিচালনার জন্য আমলকি খাওয়া একমাত্র কার্যকর বা নির্ভরযোগ্য বিকল্প হতে পারে না। এক্ষেত্রে চর্বিযুক্ত মাংস, মটরশুটি, মসুর ডাল, শাক-সবুজ এবং শক্তিশালী শস্যের মতো বিভিন্ন ধরণের আয়রন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণকে অগ্রাধিকার দেওয়া অপরিহার্য। যদি আয়রনের পরিপূরক প্রয়োজন হয়, তবে ব্যক্তিগত চাহিদা এবং স্বাস্থ্যের অবস্থার ওপর ভিত্তি করে সবচেয়ে উপযুক্ত এবং কার্যকর পদ্ধতি নির্ধারণ করতে একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
একুশে সংবাদ/ঢা.প./সাএ
আপনার মতামত লিখুন :