প্রিয় বিড়াল কিংবা কুকুরের সাথে কিছুটা সময় কাটালেই অনেকের হাঁচি-কাশি শুরু হয়ে যায়। অনেকের ত্বকে র্যাশ-ফুস্কুড়ি ওঠে। পোষা প্রাণীর লোম নাকে গেলে কারো কারো সাথে সাথেই অ্যালার্জির উপসর্গ দেখা দেয়। যাঁদের অ্যালার্জির ধাত আছে, তাঁদের পোষ্যের লোম, থুতু-লালা থেকে ‘অ্যালার্জিক রাইনিটিস’-এর উপসর্গ দেখা দেয়। কারো কারো ‘অ্যালার্জিক ডার্মাটাইটিস’ দেখা দেয়। পোষা প্রাণীর সাথে থেকেও অ্যালার্জি থেকে দূরে থাকা যায়। এজন্য কিছু নিয়ম মানতে হয়।
১. অ্যালার্জি হলেই প্রিয় পোষা প্রাণীর কাছ থেকে দূরে থাকবেন তা নয়। অ্যালার্জি থেকে বাঁচতে পোষা প্রাণীকে আদর করার পর সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন। হাতের কাছে স্যানিটাইজ়ারও রাখতে পারেন। যত বার পোষা প্রাণীর গায়ে হাত দেবেন, ততবারই হাত স্যানিটাইজ করতে হবে।
২. প্রিয় বিড়াল, কুকুর কিংবা খরগোশকে ভালো করে গোসল করাতে হবে। বাজারে তাদের জন্য শ্যাম্পু পাওয়া যায়। পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ভালো মানের শ্যাম্পু কিনুন।
৩. অ্যালার্জি বেশি থাকলে পোষা প্রাণীর কাছে যাওয়ার সময়ে মাস্ক পরে নিন। এতে অনেকটা ঝামেলা এড়াতে পারবেন।
৪. অনেকেই পোষা প্রাণীটিকে বুকে নিয়ে একই বিছানায় ঘুমান। অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে পোষা প্রাণীর বিছানা আলাদা করুন। আপনার বিছানা বা বালিশ ব্যবহার করতে দেবেন না। পোষ্যের লোম উড়লেও অ্যালার্জি হতে পারে। সেক্ষেত্রে নিয়মিত ঘর পরিষ্কার রাখতে হবে। এয়ার ফিল্টার ব্যবহার করতে হবে।
৫. আপনার প্রিয় পোষা প্রাণীটির শরীরে যেন জীবাণু বাসা না বাঁধে সেদিকে নজর দিন। কুকুর–বিড়ালের লোমের মধ্যে ছোট ছোট পোকা জন্মায়। তাই পোষ্যকে পরিচ্ছন্ন রাখতেই হবে।
একুশে সংবাদ/এসএস
আপনার মতামত লিখুন :