সর্দি, কাশি, জ্বরের সময় শীতকাল। এই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এক সপ্তাহ গা, হাত, পায়ে ব্যথা নিয়ে বাড়িতে শুয়ে থাকার সমস্যায় কমবেশি সকলেই ভুগছেন। সারা দিন মুখে তিতকুটে ভাব, কোনও খাবারেই স্বাদ পাওয়া যায় না। তাই এই অরুচি কাটাতে কী করবেন, ভাবছেন? ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। রইল সন্ধান:-
১) জ্বরের মুখে আদা খেলেও স্বাদ ফেরে। তা ছাড়া, সর্দিকাশি থেকে উপশম পেতেও আদার জুড়ি মেলা ভার! বাড়িতে আদার লজেন্স বানিয়ে নিলে কেমন হয়? একটি পাত্রে এক বাটি আদা দিয়ে খানিকক্ষণ নাড়াচাড়া করুন। এ বার ৪০০ গ্রাম গুড় দিয়ে ভাল করে জ্বাল দিন। গুড় পুরোপুরি গলে গেলে তাতে এক চামচ বিট নুন, এক চামচ হলুদ গুঁড়ো, এক চামচ গোলমরিচের গুঁড়ো ও এক চামচ ঘি দিয়ে মিনিট পাঁচেক আরও নাড়াচাড়া করুন। এ বার একটি বাটার পেপারের উপর চামচে করে মিশ্রণটি ঢেলে গোল গোল চাকচির আকার দিন। ঠান্ডা হলেই জমে যাবে লজেন্সগুলি।
২) পুদিনা পাতা স্বাদকোরক চাঙ্গা করতে পারে। একটি-বা দু’টি পুদিনা পাতা মুখে রেখে দিলে বিস্বাদ ভাব অনেকটা কেটে যেতে পারে। কোনও রান্নাতেও পুদিনা দিয়ে দিতে পারেন। জ্বরের মুখে আলু-পুদিনা চাট খেতে মন্দ লাগবে না। ছোট আলু নুন দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। এ বার সমপরিমাণ পুদিনা পাতা ও ধনেপাতা ও সামান্য কাঁচালঙ্কা, আদা, রসুন দিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এ বার কর্ন ফ্লাওয়ারে আলু ডুবিয়ে ডুবো তেলে ভেজে নিন। এ বার প্যানে মাখন দিয়ে পুদিনার মিশ্রণ দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন। এ বার আলুগুলি দিয়ে নাড়াচাড়া করে লেবুর রস আর চাটমশলা ছড়িয়ে পরিবেশন করুন!
৩) লেবুও স্বাদ ফেরাতে দারুণ কার্যকর! এই সময়ে গরমাগরম লেমন করিয়্যান্ডার স্যুপ বানিয়ে খেলেও বেশ আরাম পাবেন। একটি প্রেশার কুকারে সামান্য মাখন নিয়ে তাতে এক চামচ আদা, রসুন বাটা দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। তার পর একে একে গাজর, ক্যাপসিকাম, পেঁয়াজ, বাঁধাকপি দিয়ে মিশিয়ে নিন। পরিমাণ মতো জল দিয়ে একটি সিটি দিয়ে নিন। ঢাকনা খুলে একটি লেবুর রস, গোলমরিচের গুঁড়ো আর কর্নফ্লাওয়ারের মিশ্রণ আর ধনেপাতা দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। ঘন হয়ে এলে গরম গরম স্বাদ নিন এই স্যুপের।
একুশে সংবাদ//ন.দি//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :