চুমু শুধু ভালোবাসা প্রকাশের মাধ্যমই নয়, এতে রয়েছে বেশ কিছু চমকপ্রদ শারীরিক উপকারিতাও। নিয়মিত চুমু খাওয়া মানসিক শান্তি থেকে শুরু করে মুখের পেশীর ব্যায়াম পর্যন্ত—নানাভাবেই শরীরকে উপকার করে। আসুন জেনে নিই চুমুর কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা:
১. স্ট্রেস কমায়, বাড়ায় সুখানুভূতি
চুমু খাওয়ার সময় শরীরে অক্সিটোসিন ও এন্ডোরফিন হরমোন নিঃসৃত হয়। এই হরমোনগুলো মানসিক চাপ কমিয়ে দেয়, মন ভালো রাখে এবং একটি ইতিবাচক অনুভূতির সৃষ্টি করে।

২. হৃদযন্ত্রের সুস্থতায় সহায়ক
চুমু খাওয়ার সময় হৃদস্পন্দন কিছুটা বেড়ে যায়, যা রক্ত সঞ্চালনকে সচল রাখে এবং হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
৩. মুখের পেশী শক্তিশালী করে
চুমু খাওয়ার সময় প্রায় ৩০টির বেশি মুখের পেশী সক্রিয় থাকে। এটি একটি প্রাকৃতিক ব্যায়ামের কাজ করে, যা মুখের টোন বজায় রাখে এবং বয়সের ছাপ ধীরে আসতে সাহায্য করে।
৪. ঠোঁট ও ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে
চুমুর সময় ঠোঁটে রক্ত চলাচল বাড়ে, যা ঠোঁটকে নরম ও উজ্জ্বল রাখে। এটি ঠোঁটের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা বজায় রাখতেও সহায়তা করে।

৫. শরীর গরম রাখে
চুমু খাওয়ার সময় শরীরের তাপমাত্রা সামান্য বাড়ে, যা শীতকালে দারুণ কার্যকর হতে পারে। এটি শরীরকে তাজা ও উদ্যমী রাখে।
৬. মানসিক সংযোগ গভীর করে
চুমু পারস্পরিক ঘনিষ্ঠতা বাড়ায়, যা সম্পর্কে আবেগ ও বিশ্বাস গড়ে তোলে। দাম্পত্য বা প্রেমের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি মানসিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে।
৭. ইমিউন সিস্টেমও উপকার পেতে পারে
গবেষণায় দেখা গেছে, চুমুর মাধ্যমে কিছু ব্যাকটেরিয়া বিনিময় হয়, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে প্রশিক্ষণ দেয় এবং কার্যকর করে তুলতে পারে।
একুশে সংবাদ//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :