কালের আয়নায় নতুন ছবি একে, এসো হে বৈশাখ এসো ১৪৩১। মুছে দাও সকল গ্লানি, মুছে দাও অবসাদ। ধরণীর সকল কালিমা ধুয়ে, নতুন আলোয় রাঙা করো পৃথিবী। বাংলা বিগত সময় এর সকল জীর্ণ শীর্ণ মলিনতা ধুয়ে মুছে নিয়ে যাও। আজ প্রভাতের পবিত্র আলোয় আলোকিত করো ধরা। স্বপ্ন লোকের স্বপ্ন খেয়ায় জাগুক পরম্পরা। পুরনো সব অমঙ্গলের অশুভ স্পর্শ মুছে, সত্য আলোয় রাঙা হোক বিশ্ব। নববর্ষ সবার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ আর শান্তির পরশ। সকলকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা।
মৃত্যুর কোল ঘেঁষে এগিয়ে চলে জীবন। জীবন আর মৃত্যু একই সূত্রে গাঁথা। ক্রম বিকাশের ধারায় এগিয়ে চলে ধরণীতল। সমাজ, সভ্যতা, রাষ্ট্র কাঠামো, সমাজবিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান সব কিছুই ক্রমবিকাশ কিংবা চক্রাকারে এগিয়ে চলে। একইভাবে জর-জীবন চক্রাকার এক বূহ্য। জীবনের ও-ই পারে মৃত্যু আর মৃত্যুর ও-ই পারে জীবন। মানব জনম জীবন মৃত্যুর গভীর রহস্যের জালে ঢাকা। স্থান কাল সময় পেরিয়ে মানুষ তার নব জীবনে প্রবেশ করে। নতুন কে আলিঙ্গন করে, পুরাতন কে বিসর্জন দিয়ে। বাস্তব অর্থে মহাবিশ্বের সকল কিছুই আবর্তন করেই এগিয়ে চলে মহাকালের গর্ভে। স্রষ্টার সত্যকে আলিঙ্গন করে, দিনের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে রাত আবার রাতের বুক চিরে বেরিয়ে আসে দিন। চাঁদ, সূর্য,গ্রহ,নক্ষত্র, তারা। আকাশ, মাটি, ভূমন্ডল,প্রকৃতি, সাগর, নদী, পাহাড়। সব কিছুই একটা নির্দিষ্ট আয়তনে আবর্তিত হয়। অতীত কাল,বর্তমান কাল,ভবিষ্যৎ কাল এগিয়ে চলে মহাকালের দিকে। কোরআন, পুরান, বেদ,বইবেল,গীতা, সকল পবিত্র ধর্ম গ্রন্থ যুগ-যুগান্তর আবর্তন করে চলছে একে অপরের সান্নিধ্য। পথভ্রষ্ট জীবন কে আলোর পথ দেখাতে লক্ষ্য লক্ষ্য প্রতিনিধি স্রষ্টা প্রেরণ করেছেন পবিত্র গ্রন্থ সহ। সেখানেও চক্রই আবর্তন করে চলছে পবিত্র মানব আর ধর্ম গ্রন্থ। স্রষ্টা জীবন আর মৃত্যুকে রহস্যের চাদরে ঢেকে দিয়েছেন। জীবন মৃত্যু তাই আলিঙ্গন করে থাকে পরস্পরকে। জীবন মৃত্যুর মাঝে একবিন্দু ফাঁকা নেই। অদৃশ্য জগৎ থেকে জীবন পৃথিবীতে আসে মায়ের পেট হয়ে। তারপর ইহলোক, পরলোক। ইহলৌকিক পারলৌকিক তার আগে মায়ের পেট, তার-ও আগে অদৃশ্য জগৎ। এ-সব ই জীবনের চক্র। মূল কথা হলো জীবন মৃত্যু মানেই তু জায়গা বদল। অবস্থান বদল করে মহাবিশ্বের সকল কিছুই মহা আবর্তনের পথে এগিয়ে চলছে,স্রষ্টার নিয়ন্ত্রিত পথে। তাই জীবন মৃত্যু সকল কিছুই এগিয়ে চলে ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে। কোরআন বলেছে জীবনের মাঝখান থেকে মৃত্যুকে বের করে আনা হয়, অপরদিকে মৃত্যুর মাঝখান থেকে জীবনকে বের করে আনা হয়। পোরান বলেছে একই কথা ভিন্ন আঙ্গিকে। সারমর্ম হলো জীবনের কোন বিনাশ নাই। জীবের বিনাশ নাই। ধ্বংস, প্রলয়, নতুনের আবর্তনে শুধু সবকিছু এগিয়ে চলে পুরাতন কে পিছনে ফেলে নতুনের পথে। সময় কাল এগিয়ে চলে মহাকালের দিকে।
তাই জীবনের মাঝেই মৃত্যুর ছবি, মৃত্যুর মাঝে জীবনের ছবি। আজ এবং আগামীকাল ইতিহাস এমনই এগিয়ে চলে প্রাগৈতিহাসিক কালের গহ্বরে।
একুশে সংবাদ/এ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :