কেন আমারই আত্মজা আমার মুখোমুখি এসে দাঁড়ায়
একে একে ছিঁড়িছে গ্রন্থি, নীরব রক্তক্ষরণ
কেবলই ভাঙা-গড়ার গান, হৃদয় আকাশে
এ কিসের দহন অনির্বাণ?
আমার চারপাশে এ কেমন বায়বীয় শূন্যতা
বিশাল এই জনারণ্যে যেন শুধুই একেলা।
চারপাশে দেখি কেবল মানবিকতার অভাব
কেন অতর্কিত হানা দেয় তস্করেরা সুখের ডেরায়
কেন এক ফুৎকারে ভেঙে যায় আমার
সাজানো সংসার, যেন বালুচরে বাঁধা ঘর?
কেন এমন করে আমার সোনালি অতীত
ম্লান হয়ে যায়; হৃদয়ের বিষন্নতায়
কেন কোন ভুলে আমারই আত্মজা
আমার মুখোমুখি এসে দাঁড়ায়?
কেন গ্রন্তি ছেঁড়ার বেদনা এত বেশি কাঁদায়?
আমি তো সমর্পিত মানব এক
হাল ছেড়ে বসে আছি পাল তোলা নৌকায়
নতুন কোন শহর বন্দরে নোঙরের আশায়।
আমার কন্ঠে গাওয়া সুললিত গান
কেউ তাতে শুনতে পায়না কান্নার আওয়াজ
আমার হৃদয় বিদীর্ণ করা ডাক চিৎকার,
যেন বাক প্রতিবন্ধীর আস্ফালনের সমান।
আমি কী ভিনগ্রহের কোন এলিয়েন এক
জানিনা কেমন করে নেমে এলাম এই ধরায়
কেবলই আমাকে ঘিরে বাস করে এক
ভ্রান্তি বিলাস, নিজেই খুঁজে ফিরি নিজের পরিচয়
আর জীবন কাটে এ কেমন আচ্ছন্নতায়?
যার কোন সদুত্তর জানা নেই আমার?
আনন্দনগর, বাড্ডা, ঢাকাঃ ২৭ মে-২০২৪
আপনার মতামত লিখুন :