কূল ভাঙা ঢেউ
স্নিগ্ধ নীলিমা
সন্ধ্যা সুগন্ধার মোহনায় চৈতালি বিকেলে
পানসি ভাসিয়ে কাটিয়েছি কতটা প্রহর।
পাড়ভাঙা ঢেউ কানে কানে শুনিয়েছে
পূর্বপুরুষের ভিটামাটি আর কঙ্কাল
ভেসে গেছে অচেনা গায়ে পরিচয়হীন।
স্মৃতিচিহ্নহীন উত্তরপুরুষের দৃষ্টির সীমানা।
রয়েছে সে প্রিয়জন এ সবুজ হৃদয়ের এককোণে,
ভালবাসার বসতবাটিতে, ব্যাকুল হৃদকুঠুরিতে।
আজো নিভৃতে মন কাঁদে, খুঁজে ফিরি সেদিনগুলো।
নদী এমন কেন হয়! সবকিছু নিয়ে যায়,
বুকের তার ছিঁড়ে নেয়, ভেসে যায় সুখের ঠিকানা।
গাঙচিল, বালিহাঁস উড়ে যায় রেখে যায় দীর্ঘশ্বাস।
একদিন এপারে ছিল ভালবাসার হাটবাজার,
ফসলের অবারিত মাঠ, মেঠোপথে নরম ঘাস,
বাঁধানো পুকুরঘাট, সুমিষ্ট ফলের বাগান,
ছিল ঘোমটাপরা কিশোরী বধূর সলাজ চাহনি,
লাঙল কাঁধে কৃষাণের প্রিয়ার পানে ফিরেফিরে চাওয়া।
আজ নীড়হারা আপনজনের বসতি এগাঁয়ে ওগাঁয়ে,
সন্ধ্যার কালোজলে হাহাকার বিষন্নতার মরমি গান।
একুশে সংবাদ/
আপনার মতামত লিখুন :