বর্তমান (২০২৪) বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের অধিকাংশ এলাকা ছিল জলমগ্ন। প্রথম ও দ্বিতীয় শতাব্দীর দিকে বাবুগঞ্জ, উজিরপুর, গৌরনদী, আগৈলঝাড়া, কোটালিপাড়া (তখন এ ভূখণ্ডের নাম কি ছিল তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি) ছিল জনবসতিপূর্ণ স্থলভাগ। এককথায় বলতে গেলে- উজিরপুর এলাকা দক্ষিণের আদি ভূভাগের মধ্যে অন্যতম নিদর্শন। এখানের কৃষ্টি-কালচারেও রয়েছে পুরনো ছোঁয়া।
উজিরপুরের গ্রামে গ্রামে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও এখনও সাধারণ মানুষজনের মধ্যে কথ্যভাষায় পুরনো শব্দের ব্যবহার ও উচ্চারণ লক্ষ করা যায়।
যেমন-
১. ‘ম্যাবাই মোরে অ্যাট্যা ক্যালা দ্যাও, মুই অ্যাট্টু উরুম খামু।’
ম্যাবাই= বড় ভাই/ মিয়া ভাই, মোরে= আমাকে/ আমারে, অ্যাট্যা= একটা, ক্যালা=কলা, মুই= আমি, অ্যাট্টু= একটু, উরুম= মুড়ি, খামু= খাবো।
২. ‘মুই কি কইছি আমনেরা বোজ্জেন?’
মুই= আমি, কইছি= বলছি, আমনেরা= আপনারা, বোজ্জেন= বুঝেছেন
৩. বাবো, গরু চাইরডার মুহে ঠুঁই বাইন্দা দ্যাও, মুই কোলায় লইয়া যাই। আইজগো মুই পেরতম আল চমু।
বাবো= বাবা, চাইর=চার/৪টি, মুহে= মুখে, ঠুঁই= গরু যাতে ফসলাদি না খেতে পারে সে জন্য বাঁশ বা বেতের তৈরি মুখোশ। বাইন্দা= বাঁধা, কোলায়= খেত, জমি, আইজগো= আজ/ আজকে, মুই= আমি, পেরথম= প্রথম, আল= হাল, চমু= চাষ দিমু/ চাষ করা।
সংগ্রহকারী : সামসুল আলম জুলফিকার
সাধারণ সম্পাদক, সৎসঙ্গ ফাউন্ডেশন,
কেন্দ্রীয় কমিটি, ঢাকা
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :