করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে বাইডেন প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ এ রাজনীতিকের সফর নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ঢাকাকে পাশে চায় ওয়াশিংটন। ঢাকাও এ ইস্যুতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। এ মুহূর্তে জন কেরির সফর আগামী ২২-২৩ এপ্রিল বাইডেন’স লিডারস সামিট অন ক্লাইমেটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সশরীরে আমন্ত্রণ জানানোই মূল লক্ষ্য। তবে এ সুযোগে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ বৃদ্ধি, রোহিঙ্গা ইস্যু, জিএসপি সুবিধা পাওয়া কিংবা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের যুক্তরাষ্ট্রে পলাতক খুনি রাশেদ চৌধুরীর প্রত্যাবর্তনের বিষয়গুলো আলোচনার টেবিলে উত্থাপন করবে ঢাকা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি কয়েক ঘণ্টার সফরে শুক্রবার (৯ এপ্রিল) ঢাকায় আসছেন। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আলোচনার জন্য আসা বাইডেনের এ বিশেষ দূতের সফরকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে ঢাকা। কেননা, সাবেক এ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে ঢাকা-ওয়াশিংটনের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের সুযোগসহ বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, রোহিঙ্গা ইস্যু, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি সুবিধার মতো বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার সুযোগ পাওয়া যাবে।
আইপিএস নিয়ে কোনো আলোচনা থাকছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘আই ডোন্ট নো। আমরা ইন্দো-প্যাসিফিকে অবকাঠামোগত উন্নয়ন চাই, আমরা ফ্রি বে-অব বেঙ্গল চাই। এটাকে একটা মিলিটারি জোন (অঞ্চল) করতে রাজি না।’
গত বৃহস্পতিবার বাইডেনের জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূতের ঢাকা সফরের কথা এক বিবৃতিতে জানায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। বিবৃতিতে বলা হয়, বাইডেন’স লিডারস সামিট অন ক্লাইমেট ও কপ২৬ সামনে রেখে পরামর্শের জন্য ১ থেকে ৯ এপ্রিলের মধ্যে কেরি আবুধাবি, নয়া দিল্লি ও ঢাকা সফর করবেন।
বর্তমানে জন কেরি চারদিনের সফরে নয়া দিল্লিতে অবস্থান করছেন। নয়া দিল্লি হয়েই তিনি ঢাকায় আসবেন। ২২-২৩ এপ্রিল বাইডেন’স লিডারস সামিট অন ক্লাইমেট এবং নভেম্বরে ১ থেকে ১২ নভেম্বর যুক্তরাজ্যের সভাপতিত্বে গ্লাসগোতে কপ২৬ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। সেই সফরে জন কেরির সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। সেসময় ঢাকার সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কাজ করার আগ্রহের কথা জানায় ওয়াশিংটন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের যুক্তরাষ্ট্র সফরে জন কেরি ছাড়াও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী (সেক্রেটারি অব স্টেট) অ্যান্টনি ব্লিনকেনের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেন। দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলাপে দক্ষিণ এশিয়ায় বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাসহ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথ হিসেবে ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজিকে (আইপিএস) বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করার কথা এক টুইট বার্তায় জানান ব্লিনকেন।
আপনার মতামত লিখুন :