রাজধানী গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় দগ্ধ ইয়াসিন আরাফাত (২৬) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২২ জনে।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) রাত ৮টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সমন্ত লাল সেন তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, তার শরীরের ৫৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।
মামি মমতাজ বেগম বলেন, ‘আরাফাতের বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায়। বাবার নাম আব্দুল খালেক। সে রাজধানীর মগবাজারে মামা মোহাম্মদ আজিমের বাসায় থাকতো।’
মা ঝর্ণা বেগম বলেন, ‘সিদ্দিকবাজারে বাংলাদেশ স্যানেটারি নামে একটি দোকানে কাজ করতো আরাফাত।’
এদিকে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের দুই মালিকসহ তিন জনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। দুপুরে এ বিষয়ে শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম ভবনের দুই মালিক ওয়াহিদুর রহমান ও মতিউর রহমান এবং ভবনের স্যানিটারি ব্যবসায়ী মিন্টুর দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) বলছে সিদ্দিকবাজারের ওই বিধ্বস্ত ভবনটি স্ট্যাবল না করা পর্যন্ত এটি নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হবে না। রাজউকের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ভবনটি স্ট্যাবল করার কাজ চলছে।’
এরআগে, মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারের ওই ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে প্রথমে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিস। পরে সেখানে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ, সিটিটিসি, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড মোতায়েন করা হয়।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২২ জনে দাঁড়িয়েছে। ঘটনার পর থেকে গত দু’দিন ধরে বন্ধ রয়েছে বিধ্বস্ত ভবনটির আশপাশের সব বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। গুলিস্তান থেকে বংশালগামী দুটি লেনের মধ্যে একটি লেন দিয়ে চলাচল করছে যানবাহন।
একুশে সংবাদ.কম/স.ট.প্র/জাহাঙ্গীর
আপনার মতামত লিখুন :