ডাক ও টেলিযেগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট ডাক ব্যবস্থা অপরিহার্য। স্মার্ট ডাকঘর রূপান্তর নিশ্চিত করতে ডিজিটাল দক্ষতা সম্পন্ন স্মার্ট ডাককর্মী তৈরি করতে হবে। ডাককর্মীদের ডিজিটাল দক্ষতা সম্পন্ন মানব সম্পদ হিসেবে তৈরি করা বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ যত কঠিনই হোক তা মোকাবেলা করে স্মার্ট ডাকঘর বিনির্মাণের স্বপ্ন বাস্তবায়ন আমাদেরকে করতেই হবে। সামনের দিনে স্মার্ট ফোনের মতো একটা ডিজিটাল যন্ত্র দিয়ে তাদের ডাক সেবা পরিচালনা করতে হবে। তিনি ডাক কর্মীদের ডিজিটাল দক্ষতা প্রদানে করণীয় নির্ধারণ ও বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। মন্ত্রী ডাক অধিদপ্তরের এডিএ কর্মীদের একটি স্থায়ী ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) ঢাকায় ডাকভবন মিলনায়তনে বাংলাদেশ পোস্ট অফিসের জন্য অটোমেটেড মেইল প্রসেসিং সেন্টার নির্মাণ সমীক্ষার চুড়ান্ত প্রতিবেদন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা এসব কথা বলেন তিনি।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, চিঠির যুগ শেষ হয়ে গেলেও ডাকের প্রয়োজনীয়তা ও কর্মপরিধি বৃদ্ধি পাওয়ায় ডাকের নতুন করে ঘুরে দাঁড়াবার সময় এসেছে। দেশব্যাপী ডাকঘরের বিশাল অবকাঠামো ও নেটওয়ার্ক যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারলে দেশ উপকৃত হবে। আজকের ডিজিটাল প্রযুক্তির যুগে প্রতিটি মানুষে মানুষে যোগাযোগের ব্যবস্থাও ডাক অধিদপ্তর করতে পারে। এই প্রতিষ্ঠান দেশের প্রতি প্রান্তের প্রতিটি মানুষ চিনে।
তিনি বলেন, উপনিবেশ আমলে সৃষ্ট অবকাঠামো কোন অবস্থাতেই বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরের সাথে মিলে না। তিনি সমীক্ষা প্রতিবেদন তৈরির কাজটি ডাকসেবার জন্য একটি ঐতিহাসিক ঘটনা বলে উল্লেখ করেন।
ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের এই অগ্রদূত ডাকঘর ডিজিটাইজ করতে এটুআই এর সহযোগিতার প্রশংসা করে বলেন, সরকারী প্রতিষ্ঠানকে ডিজিটাল করতে এটুআই প্রচুর সলিউশন তৈরি করেছে। আমাদের দেখতে হবে যে প্রতিষ্ঠানের রূপান্তরের দরকার সেই প্রতিষ্ঠান রূপান্তর হচ্ছে কীনা।
ডাক কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ডিএসডিএল সুপারিশ তৈরি এটুআইয়ের একটি ফলপ্রসূ উদ্যোগ বলে মন্ত্রী উল্লেখ করে বলেন, ডিএসডিএল সুপারিশ আলোর মুখ দেখতে পাবে এবং এ কাজ দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে যে পদ্ধতিতে ডাকসেবা পরিচালিত হচ্ছে তা কায়িক শ্রম নির্ভর। আমরা প্রচলিত পদ্ধতি ভেংগে নতুন পদ্ধতিতে উত্তরণের যাত্রা শুরু করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে স্মার্ট ডাকঘর বাস্তবায়িত হবেই।
ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: হারুনুর রশীদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোাগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো: মাহবুব-উল-আলম এবং এটুআই কর্মকর্তা ফরহাদ শেখ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
মাহবুব-উল-আলম, স্মার্ট ডাকঘর বিনির্মাণে এ উদ্যোগকে একটি মাইলফলক কাজ আখ্যায়িত করেন। তিনি এই উদ্যোগ গ্রহণে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বারের ভূমিকা ডাক বিভাগের রূপান্তরের ইতিহাসে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে উল্লেখ করেন।
ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশ পোস্ট অফিসের জন্য অটোমেটেড মেইল প্রসেসিং সেন্টার নির্মাণ সমীক্ষা বাস্তবায়ন হলে দেশের ডাক ব্যবস্থায় এক যুগান্তকারী পরিবর্তন সূচিত হবে । তিনি ডাক সেবা রূপান্তরের জন্য এটি মাননীয় মন্ত্রীর দুরদৃষ্টি সম্পন্ন একটি কাজ বলে উল্লেখ করেন।
ফরহাদ শেখ, এটিকে অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত বলে উল্লেখ করেন। তিনি এ জন্য মাননীয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর ভূমিকার জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে সমীক্ষা পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ত্রিভিশন এবং নিউভিশন মন্ত্রীর হাতে সমীক্ষা প্রতিবেদন পেশ করে। তিন কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ডাক অধিদপ্তর স্মার্ট ডাকঘর বিনির্মাণের সমীক্ষা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে।
একুশে সংবাদ.কম/ম.শ.প্র/জাহাঙ্গীর
আপনার মতামত লিখুন :