বঙ্গবাজারে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও এনেক্সো টাওয়ারের ৪র্থ ও ৫ম তলা থেকে এখনও বেরোচ্ছে ধোয়া। যা নেভাতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট। তবে আজও উৎসুক জনতার ভিড়ে ব্যতিব্যস্ত বঙ্গবাজার এলাকা।
ওই ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ফায়ার সার্ভিসের ৩০ ইউনিট আজ বুধবার সকাল থেকে ঘটনাস্থলে কাজ করছে। মই দিয়ে পঞ্চম থেকে উপরের তলাগুলোতে তারা পানি ছিটাচ্ছেন। আর নিচের তলাগুলো থেকে নামানো হচ্ছে আগুন থেকে বেঁচে যাওয়া, পানিতে ভেজা কাপড়। সেগুলো বস্তায় ভরে সরিয়ে নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
বঙ্গবাজার ঘিরে আশপাশের সকল সড়ক দিয়ে যান চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। হাই কোর্টের সামনে, গুলিস্থান টিঅ্যান্ডটি মোড়, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সামনের সড়কগুলোতে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে পুলিশ।
যদিও উৎসুক জনতাকে আটকাতে আজ কোনো বাধা রাখেনি পুলিশ। তবে বঙ্গবাজারের উল্টো দিকের ফায়ার সার্ভিস হেড স্টেশনের সামনের রাস্তার দুই পাশে দেওয়া হয়েছে ব্যারিকেড। এছাড়া রয়েছে পুলিশি পাহারা।
পুলিশ জানায়, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে এখানে জনসাধারণের চলাচল সীমিত করার পাশাপাশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসার পর তদন্ত কার্যক্রম চালু হবে। এরপরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা যাবে বলে জানিয়েছে তারা।
দেশের সবথেকে বড় কাপড়ের মার্কেট বঙ্গবাজারে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টায় আগুনের সূত্রপাত হলে বাতাসের কারণে দ্রুতই তা ছড়িয়ে পড়ে। একে একে আগুন নেভাতে যোগ দেয় ফায়ার সার্ভিসের ৪৮টি ইউনিট। বিমান বাহিনী ও সেনাবাহিনীও যোগ দেয় সেই কাজে, ছিল পুলিশ, র্যাব, আনসারও। পানি ছিটাতে নামে হেলিকপ্টারও।
প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইন উদ্দিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার ঘোষণা দিলেও তারপরও বিভিন্ন স্থানে শিখা দেখা যাচ্ছিল। এমনকি রাতেও দুটি স্থানে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে, তা নেভাতে কাজ করছিলেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
এ আগুনে বঙ্গবাজারসহ আশপাশের ৬টি মার্কেটের ৫ হাজার ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। প্রাথমিকভাবে আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
ঈদ সামনে রেখে এসব দোকানে নতুন কাপড় তুলেছিলেন ব্যবসায়ীরা। কেউ নিজের সহায় সম্বল কিংবা ঋণ করে ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ে ছাই হয়েছে এসব ব্যবসায়ীদের স্বপ্ন।
একুশে সংবাদ.কম/ন.ট.প্র/জাহাঙ্গীর
আপনার মতামত লিখুন :