ঈদের বাকী আর কয়েকদিন। এরইমধ্যে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে ঘরমুখী মানুষ। আর ভিড় জমতে থাকে বাস কাউন্টারগুলোতে। পদ্মা সেতু হওয়ার পর থেকে রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস কাউন্টারগুলোতে যাত্রীর চাপ বহুগুনে বেড়েছে। ঈদ আসন্ন হওয়ায় সেই ভিড়ের পালে লেড়েছে হাওয়া। আর এই সুযোগে যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) সকালে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে দেখা যায়, বাস কাউন্টারগুলোতে ঘরমুখো যাত্রীরা অপেক্ষা করছেন।
তারা অভিযোগ করছেন নির্ধারিত সময়ে বাস ছাড়ছে না। এছাড়া অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগও করেছেন যাত্রীরা। সঙ্গে রয়েছে গরমের ভোগান্তি।
যাত্রী সম্রাট কবীর সংবাদ মাধমেকে বলেন, সুনামগঞ্জ যাওয়ার জন্য আল মোবারকা পরিবহনে সাড়ে ৮টার বাসের টিকিট কেটেছি। এখন সাড়ে ৯টা বাজে। বাস এখনও ছাড়েনি। ভাড়ার বিষয়ে তিনি জানান, অন্য সময়ে ভাড়া ৬০০ টাকা নিলেও ঈদের কারণে সাড়ে ৭০০ টাকা ভাড়া নিয়েছে। এসব বিষয় দেখার কেউ নেই।
বরিশাল যাওয়ার জন্য সাকুরা পরিবহনের বাসের টিকিট কেটেছেন রনি মিয়া। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিনি বলেন, সকাল ৯টার বাসের টিকিট কেটেছি। এখনও নাকি গাড়িই আসেনি। কখন গাড়ি ছাড়বে তাও জানি না। তবু কষ্ট লাগছে না। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে পারবো এটাই আনন্দ।
পরিবারের সবাইকে নিয়ে বরগুনায় ঈদ করতে যাচ্ছেন ঠিকাদার বশির আহমেদ। কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, ইসলামিয়া পরিবহনের বাসের টিকিট কেটেছি। এখন ১০টা বাজে। তবু বাস আসেনি। কী আর করার, অপেক্ষা করছি। বাড়ি তো যেতেই হবে।
সায়েদাবাদে শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মো. রানা গণমাধ্যমকে বলেন, ভোর থেকেই মহাসড়কে জ্যাম। থেমে থেমে বাস চলছে। এ কারণে নির্ধারিত সময়ে বাস ছাড়া যাচ্ছে না। তিনি বলেন, আজ ভোর থেকে যাত্রীরা ভিড় জমিয়েছেন। বিশেষ করে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের চাপ বেশি। পদ্মা সেতু হওয়ার কারণে ওই অঞ্চলের মানুষ বাসে যেতে বেশি আগ্রহী।
একুশে সংবাদ.কম/ন.ট.প্র/জা.হা
আপনার মতামত লিখুন :