অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়েছে সেন্টমার্টিন দ্বীপের ঘরবাড়ি ও গাছপালাসহ বহু স্থাপনা।
রোববার (১৪ মে) দুপুরে মোখা উপকূল অতিক্রম শুরু করার পর প্রাথমিক আঘাতে সেন্টমার্টিনের বিভিন্ন স্থানে প্রচুর বাড়িঘর ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে যায়। সেন্টমার্টিনের জেটিঘাটের মুদির দোকানি আমির রানা এমন তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, যারা আশ্রয়কেন্দ্রে আসেননি, তারা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন। মোবাইলের নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে তিনি আর বেশি তথ্য দিতে পারেননি। তবে বাতাস এখন কিছুটা কমেছে বলে দাবি তার।
আসমা শুঁটকি বিতান ও রহিমা কটেজের স্বত্বাধিকারী মো. জয়নাল বলেন, বাড়িঘর প্রায় সবারই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমার দোকানও উড়িয়ে নিয়ে গেছে। সবারই কম-বেশি ক্ষতি হয়েছে।
তিনি বলেন, এখানে প্রায় সাড়ে ১০ হাজারের মানুষের বসবাস। এরমধ্যে আড়াই হাজার টেকনাফে চলে গেছে। বাকিরা সেন্টমার্টিনেই আছে।
বাতাসের কারণে সব ক্ষতি হয়েছে। এবার জলোচ্ছ্বাসের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেনি। পানি প্রবেশ করলে হতাহতের ঘটনা অনেক হতো।
গবাদিপশুর নিয়ে তিনি বলেন, যার যে পশু ছিল, অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে গেছে। আর অনেকে বলছেন বেঁচে থাকলে ঝোপ ও জঙ্গলে পাওয়া যেতে পারে গবাদিপশু।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, তুলনাবিহীনভাবে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়েও এতো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে আল্লাহর রহমত যে এবার জলোচ্ছ্বাসের পানি ঢুকেনি। তবে ঘরবাড়ি, গাছগাছালির প্রচুর ক্ষতি হয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা আগেই জানিয়েছিলেন সেন্টমার্টিন অপেক্ষাকৃত বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। কেননা, মোখার কেন্দ্রের প্রভাব ওই দ্বীপটির ওপরে পড়ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান জানান, সন্ধ্যা নাগাদ মোখার কেন্দ্র উপকূলে ওঠে আসবে সম্পূর্ণভাবে। মোখা এখন উপকূলে তাণ্ডব চালাচ্ছে।
মোখার কেন্দ্র মূলত মিয়ানমানের রাখাইন রাজ্য, সেখানেও তাণ্ডব চালাচ্ছে। রাজ্যের সিটুই জেলার লোকালয় ইতোমধ্যে ৮ থেকে ১০ ফিটের মতো জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে।
একুশে সংবাদ/ঢ/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :